বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে প্রবাসী নারীর অনশন

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২২, ১৯:৪৩

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বরগুনার পাথরঘাটায় কুয়েত প্রবাসীর হাসানের (৩০) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন পিরোজপুর জেলার জর্ডান প্রবাসী সোনিয়া (৩৪)।  শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।

হাসান পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম আমড়াতলা চার নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ চৌকিদারের ছেলে। হাসান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কুয়েতে অবস্থান করছে। বিয়ের দাবিতে অনশনরত সোনিয়া পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের বাদুরা সাত নম্বর ওয়ার্ডের  আব্দুস সামাদ জোমাদ্দার এর মেয়ে। তিনি গত বছর জর্ডান থেকে দেশে ফিরেছেন।

সোনিয়া জানান, জর্ডানে অবস্থান করার সময় একটি প্রবাসী গ্রুপের মাধ্যমে তিন বছর আগে কুয়েত প্রবাসী হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই থেকে কুয়েতে চাকরি করা অবস্থায় উভয়ের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে  প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সোনিয়ার অভিযোগ হাসান বিয়ের আশ্বাসে ভিডিও কলের মাধ্যমে তার সর্বস্ব ভোগ করেছে। তাদের মধ্যে সামনা সামনি দেখা হয়নি তবে অনাগত সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে এবং জমি ক্রয়ের কথা বলে ৪ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে।

সোনিয়া জানান, ঈদুল ফিতরের দুই দিন পর থেকে হাসানের মোবাইল বন্ধ করে আমার নাম্বার ব্লাকলিস্টে রেখে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও কোন যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে পাথরঘাটায় হাসানের বাড়িতে এসেছি। বিয়া না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি থেকে কোথাও যাবোনা।

অভিযোগের ভিত্তিতে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বিকার করে হাসান বলেন সোনিয়ার সঙ্গে আমার ১৫ দিনের সম্পর্ক, আমি বিশ্বাস করে শুধু মাত্র কথা বলেছি। এই সুযোগে আমার সঙ্গে কথা বলার স্কিন সর্ট নিয়ে ব্লাকমেইল করতে শুরু করে। আমি তাকে ঈদে পাঁচ হাজার টাকা ও দিয়েছি। এছাড়া আর কিছুই না। আমি তাকে বিয়ের কোন প্রলোভন দেখাইনি বরং সে একজন তালাক প্রাপ্ত মেয়ে। আমাকে হয়রানি করতে আমার বাড়িতে উঠে বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছে।

হাসানের মা ফাতিমা বেগম জানান, সোনিয়াকে তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসতে বলেছি। কিন্তু কিছুতেই সে তার লোকজন নিয়ে আসছেনা।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, অনশনের ঘটনা জানতে পেরে আমরা সোনিয়া নামের ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি আইনগত কোনো সহায়তা না নিয়ে অনধিকারভাবে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করেছেন। তাকে আইনি সহায়তা নিতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বুঝানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এআর)