‘পি কে হালদারকে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করবে দুদক’

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২২, ২০:২৪

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক , ঢাকাটাইমস

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক হওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ক্যালেঙ্কারির মূল হোতা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দেশে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

 

সোমবার সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পি কে হালাদরকে দেশে ফেরাতে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

পি কে হালদারে দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, কমিশন জরুরি বৈঠক করেছে। সেখানে পি কে হালাদারকে ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাকে ফেরানোর সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে কমিশন।

 

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে পি কে হালদারে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। আমরা ভারতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে ফেরাতে সেদেশের ইন্টারপোলও আমাদের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। আমাদের জন্য ভালো খবর ইন্টারপোল অথরিটি খুব দ্রুত রিয়্যাক্ট করেছে আসামি ফেরত পাঠানোর বিষয়ে।

 

সরকারে তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আমরা হোম মিনিস্ট্রিতে চিঠিপত্র দেব, যেনো তাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়। এছাড়া সেদেশে থাকা তার সম্পদের যে তথ্য পাচ্ছি সেগুলোর খোঁজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিরিজেন্সকে তথ্য সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করব। ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসকেও আমাদেরকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করব।

 

ভারতে পি কে হালদারে বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে রিমোন্ডেও নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় ফেরত আনা যাবে কি না জানতে চাইলে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। সেসব প্রক্রিয়াত থাকবেই। এর পরও আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে যত দ্রত সম্ভব তাকে দেশে আনার চেষ্টা করা হবে।

 

বিদেশ থেকে সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় দুদকের সফলতা আশাব্যাঞ্জক নয় জানিয়ে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, এই ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা কম। তবে আমরা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আশাবাদি। এই প্রক্রিয়াটা সহজ হবে না। কিন্তু আমরা চেষ্টা অব্যহত রাখবো

 

তিনি আরও বলেন, ভারতে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে, হয়তো আরও মামলা হবে। তবে আমাদের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত তাকে দেশে ফেরত আনা যায়, সেই জন্য ভারতীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তাদের প্রতি আমাদের চেষ্টা এবং অনুরোধ অব্যাহত থাকবে। তবে কবে ফিরিয়ে আনা যাবে সময়ের বিষয়টা সুনির্দিষ্ঠ করে বলা যাচ্ছে না।

 

গত শনিবার (১৪ মে) এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার, তার স্ত্রী, ভাইসহ ছয়জনকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশটির আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কর্তৃক গ্রেপ্তার করে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এসআর/ইএস)