রাইড শেয়ারে ঘুচল বেকারত্ব

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২২, ২২:০১ | আপডেট: ১৬ মে ২০২২, ২২:০৩

ওমর ফারুক, ঢাকাটাইমস

শ্যামল দত্ত। বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। পরিবারসহ থাকেন মিরপুর ১ নম্বরে। দুই সন্তানের বাবা শ্যামল বর্তমানে জীবিকা নির্বাহ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে। পাঠাও কোম্পানির চালক হবার আগে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন তিনি।  তবে করোনার কারণ ধস নামে তার ব্যবসায়। কিছুদিন কর্মহীন থাকার পর এক বন্ধুর পরামর্শে  সিদ্ধান্ত নেন রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত হওয়ার। টাকার ব্যবস্থা করে একটি বাইক কেনেন। এরপর থেকে পাঠাওচালক হিসেবে যাত্রা শুরু শ্যামলের।

শ্যামল বলেন, রাইড শেয়ারিংই করবো, এমন চিন্তাভাবনা ছিল না। তবে করোনায় যেহেতু রাইড শেয়ারিংয়ের চাহিদা বাড়ছিলে, তাই কুইক আর্নিংয়ের জন্য এটাকেই বেছে নিলাম।

দিনে কেমন রোজগার করেন প্রশ্ন করতেই শ্যামল বললেন, দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মতো্ আসে। কোনোদিন এক হাজার টাকা্ও রোজগার হয়। তবে তেলের খরচ, গাড়ির সার্ভিসিং খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা যায়।

তবে রাইড শেয়ারিংকেই পেশা হিসেবে নিতে চান না শ্যামল। তিনি বলেন, সারাদিন গাড়ি চালানোর ফলে নিজের শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বিশেষত হাত আর কোমরে ব্যাথা হয়। এছাড়া সার্জেন্টের ঝামেলা তো আছেই।  তাই রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি  অন্য চাকরি খুঁজছেন। ভালো কোনো সুযোগ পেলে রাইড শেয়ারিং ছেড়ে দেবেন।

রাইড শেয়ারিংয়ে সবচেয়ে ভালো দিক কোনটা- জানতে চাইলে একটু হেসে শ্যামল বলেন, নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়। তাদের বিপদ আপদের সঙ্গী হওয়া যায়। একবার এক ব্যক্তি ইমারজেন্সি কাউকে রক্ত দিতে যাবেন। বাসে দেরি হবে বলে পাঠাও নিয়েছেন। সেদিন কোনো কারণে রাস্তায় প্রচন্ড যানজট ছিল। থেমে থেমে সামনে এগুতে হচ্ছে। এদিকে লোকটা চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠছিল। পরে আমি অন্য আরেকটা পথ ধরে যথাসম্ভব দ্রুত তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। লোকটা কৃতজ্ঞতায় নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে ১০০ টাকা বেশি দিতে চেয়েছিল। নেইনি। করোর বিপদে পাশে থাকতে পেরেছি, এটাই ভালো লাগা।

শ্যামলের মতো আরো অনেকেই বেকারত্ব ঘুচাচ্ছেন রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে। করোনাকালে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আত্মকর্মংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে পাঠাওয়ের মাধ্যমে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ মে/ওএফ/কেএম)