রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় স্থান না পায়: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২২, ২২:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, সন্ধীপ, লোহাগাড়া সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরসহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গারা তথ্য গোপনের মাধ্যমে বসবাস করে আসছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় স্থান না পায় সে ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকবে তাদেরকেও রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ১৫ জুন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৪টিসহ বিভিন্ন উপজেলার ২১টিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোপূর্বে এসব ইউনিয়নে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

চলমান উন্নয়নকাজগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন আর মানসম্মত হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রামে যেসব উন্নয়নকাজ চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। যে সব সরকারি সম্পত্তি বেদখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। জেলা পরিষদ থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলা পরিষদে যাচ্ছে সেগুলো সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও বেগবান হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ মাহমুদ উল্লাহ মারূফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাংগীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), এম.এ মোতালেব (সাতকানিয়া), চৌধুরী মো. গালিব (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), মো. জসিম উদ্দিন (মিরসরাই), উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা সুলতানা (কর্ণফুলী), শেখ জোবায়ের আহমদ (আনোয়ারা), সাইদুজ্জামান চৌধুরী (বাঁশখালী), মো. মিনহাজুর রহমান (মিরসরাই), মো. সাব্বির রাহমান সানি (ফটিকছড়ি), ইফতেখার ইউনুস (রাঙ্গুনিয়া), নাছরীন আক্তার (চন্দনাইশ), ফাতেমা-তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আমিরুজ্জামান, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ওয়াহিদুল আলম, উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, ওষুধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মুঃ ফরিদুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের (সাতকানিয়া), জহুরুল ইসলাম (বোয়ালখালী), মো. গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই), জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞা প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এআর)