মাইক্রোবাস চালক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ২ যাবজ্জীবন ৪

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২২, ১৮:২৩

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুসন্ডা গ্রামে মাইক্রোবাস চালক জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চার আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ঘোষবের গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাস চালক ছিলেন।
 
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার চরডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ওমর হোসেন সাইফুল (পলাতক), একই উপজেলার বাবনা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুজ্জামান সজিব (পলাতক)।

যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার খাসঘুনী পাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. আলী সীমান্ত (পলাতক), একই উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আজীম খান, শালীয়ারা গ্রামের শফিকুল আলেমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার মাদারপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুসন্ডা এলাকায় মাইক্রোবাস চালক জাহাঙ্গীর আলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এঘটনার রাতে ঘিওর থানার এসআই লুৎফর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং ৬জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক চৌধুরী ২০১২ সালের ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি ৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জহিরুল ইসলাম, আহসান হাবীব ও হুমায়ূন কবির।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তুষ্ট হলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এআর)