আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে সদস্যপদের আবেদন করল সুইডেন-ফিনল্যান্ড

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ১৭:০৪ | আপডেট: ১৮ মে ২০২২, ১৭:০৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে সুইডেন-ফিনল্যান্ড।

সুইডেন-ফিনল্যান্ডের এই আবেদনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ।

রোববার সুইডেন-ফিনল্যান্ডের নেতারা ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পক্ষে মত দেন। সোমবার সুইডিশ সংসদ আবেদনের পক্ষে ভোট দেয়। আর ফিনল্যান্ডের সংসদে প্রস্তাব পাশ করে মঙ্গলবার।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের দীর্ঘ স্থল ও সমুদ্রসীমা রয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধকালীন থেকে এ দুই দেশ সামরিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারণে রুশ প্রতিবেশী এই দুদেশের ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।

ন্যাটোপ্রধান জেন্স স্টোলটেনবার্গ সুইডেন-ফিনল্যান্ডের সদস্যপদের ইস্যু দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সদস্য হতে হলে জোটের ৩০ সদস্য দেশেরই অনুমোদন লাগবে। কিন্তু জোট সদস্য তুরস্ক সুইডেন-ফিনল্যান্ডের বিরোধিতা করছে।

বিবিসি জানায়, চলতি সপ্তাহে সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে সুইডেনকে সন্ত্রাসী সংগঠনের ‘হ্যাচারি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক ফিনিশ ও সুইডিশদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করে।

তার মতে,‘‘সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যাপারে দুটি দেশের কোনোটিরই স্পষ্ট ও খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আমরা কীভাবে তাদের বিশ্বাস করব?’’

এর আগে গত শুক্রবারই ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল আঙ্কারা।

বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগদালেনা আন্ডারসান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় ন্যাটোতে সদস্যপদ, ইউরোপের নিরাপত্তা এবং ইউক্রেনকে সমর্থনের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান সম্পর্কে এক প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, উভয় দেশ ন্যাটোতে যোগ দিলে আপাতত তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেশগুলোতে সামরিক স্থাপনা ও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করলে উত্তেজনা তৈরি হবে।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ৮১০ মাইল (১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার) সীমান্ত রয়েছে। আর সুইডেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। ন্যাটোতে যোগদান করলে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় উভয় দেশ এতদিন ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত ছিল। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর নিরাপত্তা সংকটে ভুগতে শুরু করে উভয় দেশ। এক জরিপে দেখা যায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের জনগণের মধ্যে ন্যাটোতে যোগদানের পক্ষে জনমত বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে, ন্যাটোতে যোগদান করলেও নিজ ভূখণ্ডে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন চাই না বলে জানিয়েছে ফিনল্যান্ড।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/আরআর)