সাঁথিয়ায় পানির নিচে ধান ক্ষেত, শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ১৭:৪৭

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অতি বৃষ্টিতে পাবনার সাঁথিয়ায় উঠতি ফসল বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষক। বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েকটি বিল ও মাঠের হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান জমিতে তলিয়ে গেছে। একদিকে ধান ক্ষেত পানির নিচে,অপরদিকে শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকের ধানের জমিতে কোথাও হাঁটু কোথাও কোমর পানি হয়েছে। কারো কারো জমির ধান হালকা বাতাস ও বৃষ্টিতে পানিতে পড়ে গেছে। আবার অন্য কারো জমির ধানের কেবল শীষ পানির ওপরে রয়েছে। এ যেন মাথা উঁচু করে বাঁচার চেষ্টা করছে। পাকা ও আধা পাকা এমন ধান নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে কৃষকরা। এছাড়া নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকটের। পানিতে ধান কাটতে কৃষকরা শ্রমিক সংকটে ভুগছে। একজন শ্রমিকের মূল্য ৭ শত থেকে ৮শত টাকা। এলাকা ও জমির ধরনে তা কোথাও আরও বেশি। অথচ বাজারে এক মন ধান বিক্রয় হচ্ছে ৮শত থেকে ৯ শত টাকায়। সেখানে একজন শ্রমিকের মুজুরি ৮ শত টাকা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা।

সরেজমিন উপজেলার বিষ্ণুবাড়িয়া মাঠে ও ঘুঘুদহ বিলে গেলে দেখা যায়, ধানের জমিতে হাঁটু ও কোমর পানিতে অনেকেই শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছে। পানিতে ধান কাটা কষ্টাদায়ক হচ্ছে বলে তারা জানান। উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের কৃষক বাবলু, চাঁন মিয়া জানান, জমিতে বৃষ্টির পানি বেশি হওয়ায় ধান কাটা বন্ধ রেখেছি। এক মণ ধানের দামের সমান একজন শ্রমিকের মজুরি হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। একই গ্রামের বাবলু জানান, শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় আমি নিজেই ধান কাটা শুরু করেছি। উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের কৃষক মধু জানান, ঘুঘুদহ বিলে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ ধানের জমিতে হাঁটু পানি। কিছু জমির ধান পানির নিচে রয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বোরোর আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ১০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাকী ধান দ্রৃত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়াও মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  
                                                         
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এআর)