যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে তাড়িয়ে দিল স্বামী

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ২১:৪৬ | আপডেট: ১৮ মে ২০২২, ২১:৪৭

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হবিগঞ্জের বাহুবলের মিরপুরে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নারী স্বামী, শাশুড়ি, দেবর সহ পাঁচজনকে আসামি করে বাহুবল থানায় অভিযোগ দায়ের  করেছেন। 

অভিযোগ  সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরপুর  ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের হায়দর আলী ওরফে সাদুর ছেলে মো. সুমন মিয়া প্রায়  ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাউদগাও  গ্রামের মো. শাহাদাত হোসেন ওরফে ইউনুস মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার হাসিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় মো. সুমন মিয়াকে (৩৫)  যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা ও  লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র কিনে দেন শামীমার পরিবার। ওই সময় সুখেই সংসার চলছিল তাদের। তাদের  দাম্পত্য জীবনে রুমানা আক্তার (১০),  মাহমুদুর রহমান (৮) এক বছর বয়সী  ইয়াছিন মিয়াসহ ৩টি সন্তান রয়েছে।  কিন্তু তিন-চার বছর পর সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুবাই পাঠানোর জন্য মারধর করে ফের বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

নির্যাতনের শিকার শামীমা বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে আমার পিতা ও ভাইর কাছে অনুরোধ করে স্বামী সুমনকে প্রায় ১০ বৎসর পূর্বে দুবাই পাঠাই । কিন্তু সুমন মিয়া দুবাই গিয়ে কোনো কাজকর্ম না করায় তাহাকে দেশে পাঠাইয়া দেয় তার মালিক। চলে আসে দেশে। দেশে ফিরিয়েই পূনরায় ইউরোপ যেতে টাকার জন্য নির্যাতন করে স্বামী। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে মিমাংসা করে দিলে স্বামী সন্তানদের সুখের আশায় তাকে পূনরায় লাখ টাকা দেয়া হয়। ইদানীং স্বামী সুমন সিঙ্গাপুর যাবে এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ। আমাকে এ টাকা মেনেজ করতে হবে এ কথা জানিয়ে দেন শশুর-শাশুড়িও। এ কথা বলার পর আমি বলেছি, বারবার আমার বাবা কোথায় থেকে এত টাকা দেবেন। এমন কথা বলার পর তারা বলেন আমি মুখের ওপর কথা বলি। পরে গালমন্দ করে চুলে ধরে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে সবাই মারপিট করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের কবল থেকে  উদ্ধার করেন।  পরে আমার বাপ-ভাইকে খবর দিলে মঙ্গলবার দুপুরে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর বাবার বাড়ি চলে আসি। এ ঘটনায় তিনি ১৮ মে বুধবার বিকালে বাহুবল থানায় যৌতুক আইনে বাহুবল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।   

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এআর)