চোরাই ফোন বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ২২:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির সুযোগ থাকায় চোররা অনুপ্রাণিত হয়। এ কারণে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া মোবাইল চুরির ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার করা হলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। এতে চোরেরা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। শুধু মোবাইল চোরকে নয়, চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।

সোমবার থেকে মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫৮টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির মিডিয়া মুখপাত্র ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার কাজী শফিকুল আলম, অতিরিক্ত উপকমিশনার আছমা আরা জাহান, অতিরিক্ত উপকমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু ও সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তালিব।

গ্রেপ্তাররা হলেন-মনির হোসেন, মোতাহার হোসেন, সুরুজ সেন, শাহজালাল, মেহেদী হাসান, কুমার সানি, হৃদয় ও শামীম ওসমান। তাদের কাছ থেকে ১৫৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও নগদ এক লাখ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

মোবাইল ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আপনারা পুরোনো মোবাইল ফোন বিক্রি করুন। কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু চোরাই মোবাইল কোনোভাবেই বিক্রি বা মজুদ করা যাবে না। কারও কাছে চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মোবাইল বিক্রেতা, টেকনিশিয়ান, চোর ও ছিনতাইকারী রয়েছেন। বর্তমানে মোবাইলের চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণে রাস্তা-ঘাটে বা কোনো অনুষ্ঠানে মোবাইল বেশি চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এএইচ/কেএম)