তাড়াশে ৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা পাকার অপেক্ষায় ৫০ বছর

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২২, ১৪:১৬

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হেদারখাল-কুন্দইল সড়কটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই কাঁচা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়তই মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাঁচা সড়ক পাকা হবে এ আশায় এলাকাবাসী ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু কাঁচা সড়ক আর পাকা হয় না। জনপ্রতিনিধিরা বারবার শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই সড়কটিতে কোনো কাজ হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার তাড়াশ-বারুহাস সড়কের সংযোগস্থল হেদারখাল-কুন্দইল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা না করায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো লোককে কাদা ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষায় সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ফলে কোনো ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্টের শিকার হন। এ সড়ক দিয়ে সান্দুরীয়া, ধাপতেতুলিয়া, প্রতিরামপুর, কুন্দইল, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই কাদা-পানি মাড়িয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার। সড়কের মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের। আর তাতে প্রতিনিয়ত জমছে পানি। চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। পায়ে হেটে চলাচল করাও এখন কষ্টসাধ্য। সড়কটি পাকা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে মুমূর্ষু রোগী বহনে বেগ পেতে হবে না। শ্রমজীবী মানুষেরা ভ্যান, অটোরিকশা চালিয়ে সহজে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এলাকার কৃষকরা ধান, পাট, কাঁচা ফসল কম খরচে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরীয়া গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর বকুল বলেন, হেদারখাল টু কুন্দইল রাস্তার বর্তমান যে অবস্থা পরিবার নিয়ে বাড়ি এসে বুঝলাম। আমাদের এলাকাবাসী কেমন আছে!

সগুনা ইউনিয়নের ধাপতেুলিয়া গ্রামের সায়েম উদ্দিন বলেন, কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা এটি। বর্ষার দিনে এই রাস্তা ডুবে যায়। তখন নৌকা চড়ে যাতায়াত করতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে একেবারেই চলা করা যায় না। অনেক সময় মাটি পিছলে বয়স্ক মানুষ পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। মোটরসাইকেল, ভ্যান গাড়ি, সাইকেল কাদার মধ্যে দেবে গিয়ে উল্টে যায়। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার সরোয়ার ধ্রুব বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয় দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য চাহিদা দিয়েছেন। দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদাটি পাঠানো হবে। এলাকাবাসীর চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এআর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :