‘পি কে হালদারকে ফেরাতে প্রয়োজনে ভারতে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের টিম পাঠানো হবে’

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২২, ১৫:০৭ | আপডেট: ১৯ মে ২০২২, ১৯:২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের আর্থিক খাতের কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে ফেরাতে প্রয়োজনে আন্ত্রঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি করে ভারতের পশ্চিমবেঙ্গে টিম পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকসহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠক এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, পি কে হালদারেকে দেশ ফেরাতেই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি ওই বৈঠক হয়।

দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, পি কে হালদারকে ফেরাতে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করি। সেই চিঠির প্র্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয় আজকে জরুরি বেঠক ডাকে। যেখানে আইনমন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ সকলে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করি।

বৈঠকে পি কে হালদারকে ফেরানোর বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, আসামিকে ফেরানোর বহ্যঃসমর্পণ যে আইন বিদ্যমান রয়েছে, তার সমস্ত আইন বিধির দ্বারা কীভাবে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। তাকে ফেরত আনতে যে সমন্ত ডকুমন্টে প্রয়োজন সেগুলোর কম্পাইল্ড করার সিদ্ধান্ত হয়। আমরা সহসাই সেসব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, কূটনীতিক চ্যানেলসহ অন্যাস যে সমস্ত চ্যানেল ব্যবহার করে তাকে দ্রুত আনা যায় আমরা সেই চেষ্টা করব। আমরা যতগুলো ইউনিটের কথা বললাম সবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ে তাকে দেশে ফেরাতে সফল হব।

ভারতে পি কে হালদারের সম্পদের খোঁজ করতে দুদক বিএফআইইউকে যে চিঠি দিয়েছে সে বিষয়ে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আমরা যে মামলা করেছি সেখানে ভারতে পি কে হালদারের অল্প পরিমাণ সম্পদের তথ্য আমাদের কাছে ছিল।বাকি তথ্যগুলো যদি আমরা পাই তার বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার ব্যবস্থা নেব। বিএফ আইইউ সেই তথ্যগুলো আমাদের সংগ্রহ করে দেবে।

ইন্টারপোলের তৎপরাতার বিষেয়ে দুদক সচিব বলেন, ইন্টারপোলকে আমরা চিঠি দিয়েছি। ইতিমধ্যে ইন্টারপোল ভারতীয় ইন্টাপোলের যারা আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা যেন সেই যোগাযোগ অব্যহত রাখে। আর পি কে হালদারে বিষয়ে আমরা যে রেড এলার্ট জারি করেছি। সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

গত শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে দেশটির তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে। তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে দুদক। এদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/ইএস)