ন্যাটোর সদস্য হলেও নিজ ভূখণ্ডে পারমাণবিক অস্ত্র চান না ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২২, ১৬:১০ | আপডেট: ১৯ মে ২০২২, ১৬:১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হলেও নিজ ভূখণ্ডে সামরিক স্থাপনা বা পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন চান না বলে আবারও জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মার্টিন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্স জানায়, ন্যাটোতে সদস্য হওয়া নিয়ে আলাপের জন্য ইতালি সফর করেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সানা। পরে ইতালির একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের পর সানাহ জানান, সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে সমর্থনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া, তাদের সদস্য হওয়া ত্বরানিত করতে ন্যাটোর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম আরও দ্রুত করতে চেষ্টা করবেন বলেও আশা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের কারণে নিরাপত্তা সংকটে ভোগা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল বুধবার আবেদন জানায়। কিন্তু তুরস্কের আপত্তির কারণে আপাতত দুটি দেশ ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না।

কিন্তু আলোচনার ভিত্তিতে তুরস্ককে রাজি করানো সম্ভব বলে সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করেন সানা মার্টিন।

তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্কসহ বাকি সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বর্তমানে যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের জন্য এসব বিষয়ে আলাপ করা প্রয়োজন।

ফিনল্যান্ডের মতো আরেক দেশ সুইডেনও নিজ ভূখণ্ডে সামরিক স্থাপনা এবং পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে।

১৯৫২ সাল থেকে ন্যাটোর সদস্য থাকা তুরস্ক অপ্রত্যাশিতভাবে সুইডেন-ফিনল্যান্ডের সদস্যপদের বিরোধিতা করছে। দেশটির অভিযোগ, তুরস্কে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেশগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। তুরস্কের এ বিরোধিতা বজায় থাকলে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।

বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এবং সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। সেখানে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ন্যাটোতে সদস্যপদের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে সামরিক দিক থেকে ফিনল্যান্ড এত দিন নিরপেক্ষতার নীতি মেনে আসছিল। ৫৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সেনার সংখ্যা ১৩ হাজার। যদিও ফিনল্যান্ডে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯ লাখ মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে যুদ্ধের কাজে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফিনল্যান্ড-সুইডেন ন্যাটোতে যোগদান করলে আপাতত তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। যদি দেশগুলোতে ন্যাটো সামরিক স্থাপনা এবং পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/ আরআর)