ফরিদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানপুত্রকে হত্যার নেপথ্য তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২২, ১৮:৩৭

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের ইউপি চেয়ারম্যানপুত্র রাফসান হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক এমপি কাজী জাফরুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় নিহত রাফসানের জানাজায় অংশ নিতে সদরপুরে এসে নিহতের বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

 

কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ঢেউখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানকে হত্যা করতে এসেই তার শিশুপুত্র রাফসানকে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছি। নিহত রাফসানের পিতা মিজানুর রহমান ঘটনার পর এ ব্যাপারে কিছু থাকতে পারে বলে তাকে জানিয়েছে বলেও জানান কাজী জাফরুল্লাহ।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রাফসানের লাশ তাদের সদরপুরের উপজেলা সদরে নানা বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। বিকালে সদরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

 

জানাজায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল সিদ্দিকী, সদরপুর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. শাহেদীদ গামাল লিপুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও মুসুল্লিরা অংশ নেন।

জানাযা শেষে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে কিনা সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত।

 

প্রসঙ্গত গত বুধবার বিকেলে বাড়িতে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শিশু রাফসানকে হত্যা করে এরশাদ মোল্যা নামে এক যুবক। তাকে বাঁচাতে এসে হামলাকারীর অস্ত্রের আঘাতে আহত হন রাফসানের মা দিলজাহান রত্না। পরে সন্ধায় হত্যাকারী যুবক নিজেও টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যায়। অভিযুক্ত এরশাদ মোল্যা ঢেউখালি ইউনিয়নের সানু মোল্যার ছেলে। একটি সালিশের জের ধরে সে এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। এদিকে, শিশু রাফসানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঢেউখালি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দুই ছেলের মধ্যে রাফসান ছোট ছিলো। সে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

 

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এআর)