প্রতিদিন ১৯০০ মানুষ মারা যায় অসংক্রামক রোগে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১৯:২৮ | প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২২, ১৮:৩০

দেশে প্রতিবছর ১০ লাখ মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। তার মাঝে ৭০ শতাংশই মারা যান অসংক্রামক রোগে। আর দৈনিক হিসেবে অসংক্রামক রোগে প্রতিদিন মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১৯০০।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সায়েন্টিফিক সেমিনারে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, অন্যান্য কারণের মধ্যে দূষণও এই মৃত্যুর বড় কারণ। এর কারণেই নন কমিউনিকেবল রোগগুলো বেড়ে যায়। লাইফস্টাইল ও খাদ্যভ্যাসও এর জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, ‘বাতাসে পলিউশন, খাবারে পলিউশন, দূষিত খাবার, দূষিত পানি নানা কারণে আমাদের এই অসংক্রামক ব্যাধি গুলো হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আছে আমরা কায়িক পরিশ্রম করি না বসে বসে কাজ করি। যার ফলে আমাদের নানান অসংক্রামক ব্যধির সৃষ্টি হয়। মানুষ যদি সচেতন হয় তবেই এইসব অসংক্রামক ব্যাধি নির্মূল করা যেতে পারে।’

‘এছাড়াও মোবাইল ও স্কিন বেশি দেখার কারণে মানসিক সমস্যা বাড়ছে। এটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এর কারণে হাসপাতালে বেশ চাপ পড়ে উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও আত্মহত্যাও এসব কারণে বাড়ছে। মানসিক স্বাস্থ্য পলিসি কেবিনেটে পাস হয়েছে’—যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা ভালো চিকিৎসা দিতে গেলে গবেষণা দরকার। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আছে। এরই মধ্যে অসংক্রামক রোগ বেড়ে গেছে। এই গবেষণার মাধ্যমেই সঠিক নির্দেশনা আসে এবং নীতি ও পরিকল্পনা নিতে সহজ হয়।

চিকিৎসা মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্ল্যেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেদেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভালো নয় সে দেশের কাঠামো সুন্দর হয় না। একটি হাসপাতাল করলে দরকার হয় ডাক্তার, নার্সদের। আর উন্নত সেবা দিতে দরকার হয় গবেষণার। এই গবেষণা আমাদের কাজে লাগবে।

আমাদের ৩৮টি মেডিকেল কলেজ, ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এগিয়ে গেছে সাথে সমস্যাও বেড়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় সংক্রামণ ব্যাধি মোকাবিলায় প্রাতুত ছিল। আমারা টিবি, কলেরা, ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছে। এসব এখন নিয়ন্ত্রণে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানতে চাইবেন বাংলাদেশের আগের চারটি কোন দেশ। বাংলাদেশের আগের চারটি দেশ মিলিয়ে মোট জনসংখ্যা ১ কোটি। আমরা এক কোটি ২০ লাখ টিকা একদিনে দিয়েছি। অথচ ওই চারটি দেশের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি নয়। আমাদের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি। সে দিক দিয়ে বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে এক নম্বরে আছে।

অধ্যাপক রোবেদ আমিনের সভাপতিত্বে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর এনায়েত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/কেআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :