সাগরে মৎস্য শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২২, ১৯:১৬

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সাগরে মাছ ধরার ওপড় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে মৎস্য বিভাগ। গভীর সমুদ্র থেকে অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে এসেছে। এসব ট্রলারের জেলেরা দীর্ঘ দিনপর বাড়ি ফিরছেন। অনেকে ট্রলার মেরামতের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। বছরজুড়ে ইলিশের আকাল থাকায় এর ওপর নিষেধাজ্ঞা অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছে জেলেসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে অবরোধকালীন নিবন্ধিত জেলেদের প্রত্যেককে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদানের কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

গভীর সমুদ্র থেকে ফেরা এফবি আব্দুল্লাহ-২ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া জানান, সাগরে তেমন মাছ নেই। তাই আগে ভাগেই ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরেছি।

এফবি সোনালী-২ ট্রলারের মাঝি মোস্তফা মিয়া জানান, ৬৫ দিনের অবরোধকালীন আমরা সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও পার্শ্ববর্তী ভারতের জেলেরা আমাদের জলসীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন রোধেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান এসব জেলারা।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞাকালীন গভীর সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা এদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করতে না পারে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, অবরোধের পর সাগরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ার আশা প্রকাশ করছি। উপজেলায় ১৮ হাজার ৩শত নিবন্ধিত জেলে রায়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন কর্মহীন এসব জেলের দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এআর)