জারুল ফুলের বেগুনি রঙে সেজেছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ১৯ মে ২০২২, ২০:৫৯

শাদমান শাবাব, শাবিপ্রবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে পা রাখলেই নজর কাড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোডের দু'পাশ জুড়ে থাকা দীর্ঘ গাছের সারি। কিলোরোডের পাশে থাকা লেকের স্বচ্ছ পানিতে সারি সারি এসব গাছের প্রতিচ্ছবি দেখে সেগুলোকেও মনে হবে সবুজ প্রকৃতির অংশ। বর্তমানে সেই সবুজকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে থোকা থোকা বেগুনি রঙের ছোপ। 

কোথাও ঝাঁকড়া চুলের মতো বাতাসে দুলছে ফুলেল ডালপালা, কোথাও ঝোপঝাড়ের ফাঁকে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে থোকা থোকা বেগুনি রঙের জারুল ফুল। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে পথে এখন এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রকৃতিপ্রেমী যেকোনো মানুষের এই দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন বেগুনি রঙের জারুল ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস৷ 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোমিটার রোডের দুই পাশের লেকের পাড়ে, উপাচার্যের বাংলোর সামনে, একাডেমিক ভবনগুলোর পাশে, ইউনিভার্সিটি সেন্টারের সামনে, শাহপরাণ হলের পাশে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে, কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের রাস্তাজুড়ে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের জারুল গাছগুলোতে ফুটেছে জারুল ফুল। শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের কেউ কেউ জারুল ফুল মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে বা গাছ থেকে ডাল ছিঁড়ে খোপায় গুঁজে নিজেদের সজ্জিত করছেন। আবার কেউবা ছবি তুলে উপভোগ করছেন মায়াময় জারুলের সৌন্দর্য।

জারুল গাছগুলো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাত হাসান বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে জারুল ফুল ফুটে থাকে। বছরের এই সময়ে জারুল ফুলের বেগুনি আভা প্রায় সকলকে বিমোহিত করে। স্নিগ্ধ সকাল কিংবা তপ্ত দুপুর, অথবা পড়ন্ত বিকেলে এই গাছগুলো এখন আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। 

মায়াবী জারুলের ছোঁয়ায় সবুজ শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস সেজেছে তার আপন মহিমায়— এমনটি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মিসরাত সুলতানা বলেন, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিবছরের মতো এবারও মায়াবী জারুল ফুলের ছোঁয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেজেছে তার আপন মহিমায়। জারুল বৃক্ষে ফোটা অসম্ভব সুন্দর বেগুনি রঙের মায়াভরা থোকা থোকা জারুল ফুল তপ্ত দুপুরে মগ ডালে বসে নীল আকাশের সঙ্গে গড়ে তোলে ভালোলাগার সখ্য। অপরুপ এই দৃশ্য যেকোনো মানুষের মন ভরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এআর)