ব্যবসায়ী উজ্জ্বলের খুনিরা ১৭ দিনেও অধরা
গত ৪ মে দিবাগত রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে গুরুতর কুপিয়ে গুলিনকরে হত্যা করে স্থানীয় নৌ ডাকাত কবির খালাসি, জজ মিয়া খালাশি, নাহিদ খালাশি, তুশার খালাশি ও বাবলা ডাকাতসহ তাদের সহযোগীরা । এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজি বাদি হয়ে মতলব উত্তর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে এ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যাবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী ঈদ পুর্নমিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ শশুরবাড়ি চাদপুরের মতলবের মোহনপুরে যান। রাতে ষাটনল ইউনিয়নের একটি পর্যটন কেন্দ্রে অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শন করতে গেলে অভিযুক্তরা উজ্জ্বল মিয়াজিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে।পরে খরব পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, একটি চক্র ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যাবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে ডাকাত সরদার বানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
নিহতের বড় ভাই গোলাম কিবরীয়া মিয়াজি অভিযোগ করেন, কবির খালাসী চক্র এলাকার নৌ ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তারা খুন খারাবি, দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। এই চক্রের কতিপয় সদস্য আমার ভাইকে ডাকাত বলে অপপ্রচার করছে। অথচ আমার ভাই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইল ব্যবসা করে। আমার ভাই এলাকায়য় ঈদগাহ মাঠের জন্য ওয়াকফ স্টেটকে জায়গা দিয়েছে। এছাড়া সে যুব কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিল।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১৭দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকারীদের পাশাপাশি অপপ্রচারকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। তিনি জানান, পুলিশের পাশাপাশি আসামিদের ধরতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/২০মে/আরকেএইচ)