সুরমা-কুশিয়ারায় কমছে পানি, তবে এখনো বিপৎসীমার ওপরে

গেল কয়েকদিন ধরেই বেড়ে চলেছিল সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সব জায়গাই ছিল পানি। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সিলেটের প্রায় ২০ লাখ মানুষের। পানি কমতে শুরু করলেও সুরমা, কুশিয়ারায় এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে পানির স্রোত। তবে কমার ধারা অব্যাহত থাকলে আজ-কালের মধ্যেই বিপৎসীমার নিচে নেমে যাবে পানিসীমা, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাউবো জানায়, সিলেটের সুরমা আর কুশিয়ারা নদীসহ বিভিন্ন নদের পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে দীর্ঘ ১০ দিন পর কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন সিলেটের মানুষজন।
পাউবো আরও জানায়, সুরমা নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ (২১মে) দুটি পয়েন্টেই কমেছে। কুশিয়ারার পানি দুটি পয়েন্টে বাড়লেও কমেছে দুটি পয়েন্টে। লোভা, সারি ও ধলাই নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ কমেছে।
কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৩.৬৭ মিটার। আজ সকাল ৯টায় এ পানিসীমা হয় ১৩.৬০ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে গতকাল ছিল ১১.০৯ মিটার; আজ সকালে হয়েছে ১১.০৫ মিটার।
কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় ছিল ১৭.০৫ মিটার। আজ সকালে পানিসীমা দাঁড়ায় ১৬.৯৬ মিটার। পানি কমেছে শেওলা পয়েন্টেও। এখানে গতকাল ছিল ১৩.৬৩ মিটার; আজ সকালে হয় ১৩.৬০ মিটার।
তবে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে। শেরপুরে গতকাল পানিসীমা ছিল ৭.৮১ মিটার; আজ সকালে হয় ৭.৯২ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জে গতকাল ছিল ৯.৭৩ মিটার; আজ হয়েছে ৯.৮১ মিটার।
লোভা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ছিল ১৪.০০ মিটার। আজ সকালে কমে হয়েছে ১৩.৮৮ মিটার। সারি নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ১১.৪৪ মিটার থাকলেও আজ সকালে হয়েছে ১০.৯৮ মিটার। এ ছাড়া ধলাই নদীর পানিও কমেছে। এ নদীর পানিসীমা গতকাল ছিল ১০.৮৮ মিটার; আজ কমে হয়েছে ১০.৮৬ মিটার।

(ঢাকাটাইমস/ ২১মে/ এআর)