ভাঙ্গায় জোড়া হত্যা: আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ১৫:১৬

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের ভাঙ্গার তুজারপুর ইউনিয়নের জানদি গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গ্রামবাসী।

 

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের নিকট তারা প্রায় আধঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এসময় দুইপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পৌছে আসামীদের গ্রেফতারে আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জানদি রেললাইনের ওপর একই দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। নিহতদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রামবাসী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন।

গত ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন সোলায়মান শরীফ ও কামরুল মাতুব্ববর নামে দুব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আমিনুর নামে আরেক ব্যক্তি।

 

এ হত্যাকান্ডের পর ১৯ জনকে আসামী করে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রুবেল মাতুব্বর। 

 

মানববন্ধনে মামলার বাদি বলেন, এলাকায় একের পর এক অপকর্ম, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সোলায়মান ও কামরুলকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। বরং হত্যা মামলার কাউন্টার হিসেবে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ নিহতদের স্বজন ও লোকজনদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।

মানববন্ধনে নিহত সোলায়মানের মা নিলুফা বেগম বলেন, ছোটবেলা থেকে মনিরে আমি বড় করছি। ওর বাবা ১০ বছর আগে মারা গেছে। নাতিডারে দেখবে কে? তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই।

স্থানীয় গ্রাম্য মাতুব্বর শফি মাতুব্বর (৫৬) বলেন,  হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না অথচ পুলিশ কাউন্টার মামলায় নিরীহদের গ্রেপ্তার করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদের রেখে গেছে নিহতরা। তাদের দিকে যেনো নজর দেয়া হয়। এসব শিশুদের কথা ভেবেও যেনো আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

অবসরপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ রফিকুল ইসলাম (৬৮), গ্রামের মুরুব্বি করিম মোল্যা (৭১) সহ আরো অন্যান্যরাও আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেন। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন তারা।

 

এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, মামলা গ্রহণের পরপরই আমরা আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা করি তাই আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে না এ অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি জানান, এ পর্যন্ত হত্যা মামলার একজন আসামীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। আদালতে ওই আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

জানা গেছে, হত্যাকান্ডের শিকার সোলায়মান শরীফ জানদী গ্রামের মৃত মতিউর রহমান শরীফের ছেলে এবং কামরুল মাতুব্বর একই গ্রামের কালাম মাতুব্বরের ছেলে। কামরুলের ৮ বছর ও ৪ বছর বয়সী দুটি মেয়ে এবং সোলায়মানের ১৬ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

 

(ঢাকাটাইমস/২১মে/এআর)