আলমডাঙ্গায় কাল বৈশাখীর তাণ্ডব

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ১৬:৫৪ | আপডেট: ২১ মে ২০২২, ১৬:৫৫

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে শতশত গাছ পালা, বাড়িঘর, আধা-পাকা স্থাপনা। বড় বড় গাছ ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
শনিবার ভোর ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বসত বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ। উড়ে গেছে বাড়িঘরের চালা। সড়কের উপর ভেঙে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। এতে ব্যাহত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুত ব্যবস্থা। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সড়কে উপর থেকে গাছ অপসারণ করলে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা মেরামতের পর চালু হয়েছে বিদ্যুত ব্যবস্থা।
কালিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন জানান, আমাদের গ্রামসহ আশপাশের অনেক গ্রামের আধা-পাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চাল। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে শতশত গাছ পালা, বাড়িঘর, আধা পাকা স্থাপনা। বড় বড় গাছ ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব অফিসার আক্কাস আলী জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে শ্রীরামপুর ও জগন্নাথপুর এলাকায় চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সড়ক থেকে গাছ অপসারণ করার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নূর জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর, হারদি ও ডাউকি ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছের ডাল পড়ে প্রায় ১৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালিদাসপুর ইউনিয়নে ৫-৭ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সহযোগিতার জন্য তাদের নামের তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের মাধ্যমেও সহযোগিতা করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল আধাঘণ্টারও বেশি সময়। তখন বৃষ্টিপাতের পরিমাপ রেকর্ড করা হয়েছে ৭ মিলিমিটার। তবে, ওই সময় বাতাসের গতিবেগ নিরূপণ করা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/এআর)