ওসমানীতে ১০ জন্মবধিরের সুখবর

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ১৬:৫৫ | আপডেট: ২১ মে ২০২২, ১৭:১৮

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে জন্মবধিরদের মাঝে  কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো সিলেটে এই কার্যক্রম করার উদ্যোগ নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। যা নিঃসন্দেহে সিলেটবাসীর জন্য অনেক বড় অর্জন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশবরেণ্য  ও  সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু।

শনিবার  দুপুর ১২টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের' একটি অংশ। ১০ জন শ্রবণ জন্মবধির তথা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে এ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। যার প্রতিটি ডিভাইসের দাম প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, যা শিগগিরই অপারেশনের মাধ্যমে তাদের কানে স্থাপন করা হবে। আগামী ২৪ মে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই অপারেশন শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারি বিভাগের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এ জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিওমেকর  অধ্যক্ষ মো. ময়নুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিওমেকহার পরিচালক  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, উপাধক্ষ্য ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী ও সিলেট বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক  মো. আব্দুর রফিক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আবাসিক সার্জন ডা. এম. নূরুল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম। এই বিভাগের এমএস কোর্সের চিকিৎসক ডা. অরূপ রাউতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে নাক-কান-গলা বিভাগের সকল চিকিৎসকসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এ 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম' প্রথম ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চালু হয় এবং এর বাইরে জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চালু আছে। যে শিশুরা জন্মবধির তারা কানে না শুনতে পারার দরুণ তারা কথা বলাও শিখতে পারে না এবং ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে পরবর্তীকালে নানা বঞ্চনার শিকার হয়। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট তাদের সে অন্ধকার দশা থেকে মুক্তি লাভের এক আলোকবর্তিকা। তবে শুধু অপারেশনের ওপর এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সফলতা নির্ভরশীল নয়, অপারেশনের একটি অংশ মাত্র।

অডিওথেরাপী, অডিওভার্বাল থেরাপী, রিহ্যাবিলিটেশন এবং আজীবন ফলো আপ করা এসবের উপরে সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করে।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/এএ/এআর)