অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌলভীবাজার সীমান্তে কঠোর নজরদারি

প্রকাশ | ২১ মে ২০২২, ২১:৫৮

আব্দুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার

রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ সীমান্তে সব ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌলভীবাজারের শতাধিক কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে কঠোর সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জেলার চারটি উপজেলার বিস্তীর্ণ সীমান্তে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত ঘিরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে পুলিশের সচেতনতামূলক সভাসমাবেশ প্রচারণা।
ভারত থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এমন বক্তব্যের পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
১৭ মে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই মন্তব্য করেন। 
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থায় তোলপাড় শুরু হয়। প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ফাঁড়ি ও চৌকিতে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জুড়ীর লাঠিটিলা, ফুলতলা, রাজকী ও বটুলী, কুলাউড়া উপজেলার মুড়াইছড়া, আলীনগর,শরীফপুর ও চাতলাপুর এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) কর্নেল সিদ্দিকী ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত সুরক্ষা। মন্ত্রণালয় ও হেডকোয়ার্টার থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়- আমাদের সেভাবে পদক্ষেপ নিতে হয়। যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সিলেট সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
এদিকে এই বক্তব্যের পর পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুলাউড়া থানা পুলিশ মুড়াইছড়া সীমান্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা করেছে। বিকালে কর্মধা ইউনিয়নের মুড়াইছড়া বাজারে কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায়ের সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র, মাদক, চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।

তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কুলাউড়ার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে যারা সহযোগিতা করছেন- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি প্রয়োজনে সীমান্ত এলাকায় রাত্রিকালীন পাহারার ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশ দেন।
পুলিশে সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আরও বলেন, সীমান্তের ওপাশ থেকে রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে- সে ব্যাপারে তথ্য দিয়ে যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পুলিশের বন্ধু হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/এলএ)