দনবাসে জোরদার হামলার মুখে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন

প্রকাশ | ২২ মে ২০২২, ১১:৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। তীব্র আক্রমণের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। দনবাসে হামলা জোরদার করার পাশাপাশি ফিনল্যান্ডেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।

ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব শহর মারিওপোলে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের কয়েক সপ্তাহের প্রতিরোধ ভেঙ্গে দখলে নেয় রাশিয়া। এরই মাঝে দনবাস অঞ্চলের লুহানস্ক প্রদেশে জোরালো হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।

বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইউক্রেনীয় বাহিনী শনিবার বলেছে, গত ২৪ ঘন্টায় তারা নয়টি হামলা প্রতিহত করেছে এবং পাঁচটি ট্যাঙ্ক ও ১০ টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, দসবাসের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। রাশিয়ান সেনাবাহিনী স্লোভিয়ানস্ক এবং সিভিয়ারোদোনেৎস্ক শহরে আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের প্রতিরোধ করছে।

জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, কিয়েভ মস্কোর এমন কোনো চুক্তি মেনে নেবে না যার সঙ্গে ভূখণ্ড অধিগ্রহণ সম্পর্কিত। ইউক্রেন এখন ছাড় দিলে বা যুদ্ধবিরতিতে গেলে পাল্টা জোরালো হামলা করবে রাশিয়া।

পোডোলিয়াক অরো বলেন, বিরতির পরেও যুদ্ধ থামবে না। যদি সাময়িক যুদ্ধ বিরতি দেওয়া হয় তবে তারা নতুন করে আবার হামলা পরিচালনা করবে। আরো বেশি রক্ত ঝরাবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাঘির কাছ থেকেও যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান এসেছে।

ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর মারিওপোলে যুদ্ধের সমাপ্তি এবং দখলের মাধ্যমে গত তিন মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরল জয় পেয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ান বাহিনী বেসামরিক কাঠামো এবং আবাসিক এলাকায় আক্রমণ করতে পুরো ফ্রন্ট লাইন বরাবর বিমান, কামান, ট্যাঙ্ক, রকেট, মর্টার এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। হামলায় দোনেৎস্ক অঞ্চলে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয়রা ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছে।

লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি গাইদাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে বলেছেন, রুশ সৈন্যরা সিভেরোদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্কের মধ্যে সিভারস্কি দোনেৎস নদীর ওপরের একটি সেতু ধ্বংস করেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিভিয়েরোদোনেৎস্কের উপকণ্ঠে লড়াই চলছে।

ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত সিভেরোদোনেৎস্ক এবং সিভারস্কি দোনেৎস নদী কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে দখল করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।

২৪ ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরুর আগে রুশ-সমর্থিত দনবাসের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা লুহানস্ক এবং প্রতিবেশী দোনেৎস্ক প্রদেশের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল। কিন্তু ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত পুরো দনবাস অঞ্চলটি দখল করতে চায় মস্কো।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসএটি)