সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি

প্রকাশ | ২২ মে ২০২২, ১৩:২৭ | আপডেট: ২২ মে ২০২২, ১৩:৪৩

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সিলেটে ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। প্লাবিত সব এলাকা থেকেই নামতে শুরু করেছে পানি। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত ১০ মে থেকে সিলেটে টানা বর্ষণ শুরু হয়। এর সাথে উজান থেকে নেমে আসে ঢল। এ দুয়ের ফলে পানি বাড়তে শুরু করে। দু-তিনদিনের মধ্যে প্লাবিত হয়ে যায় সিলেটের জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো। সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও দেখা দেয় বন্যা। বৃষ্টি ও ঢল না থামায় পরিস্থিতি মোড় নেয় ভয়াবহতার দিকে। সুরমা নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়ে সিলেট নগরেও। তলিয়ে যায় নগরের বেশকিছু এলাকা।

প্রায় এক সপ্তাহের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ শেষে গত শুক্রবার রাত থেকে কমতে শুরু করে পানি। শনিবারও পানি কমা অব্যাহত ছিল। রবিবারও কমছে পানি। প্লাবিত অনেক অঞ্চল থেকেই এখন পানি নেমে গেছে। সিলেট নগরের সিংহভাগ এলাকাই এখন পানিবন্দি পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছে।

পাউবো এক ই-বার্তায় জানায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে শনিবার বিকেল ৩টায় ছিল ১৩.৫৮ মিটার ; আর রবিবার দুপুর ১২টায় ১৩.৪৬ মিটার। এ নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শনিবার বিকাল ৩টায় ছিল ১০.৯৭ মিটার; আর রবিবার দুপুর ১২টায় ১০.৯১ মিটার। সুরমার এই দুই পয়েন্টে পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার উপরে রয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে শনিবার বিকেল ৩টায় পানিসীমা ছিল ১৬.৯১ মিটার ; আর রবিবার দুপুর ১২টায় ১৬.৭২ মিটার। এ নদীর পানি কমেছে শেওলা পয়েন্টেও। এখানে শনিবার বিকেল ৩টায় ছিল ১৩.৫৯ মিটার ; রবিবার দুপুর ১২টায় ১৩.৫১ মিটার। এখনো এ নদীর দুই পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে রয়েছে। তবে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়েছে। শেরপুরে শনিবার বিকেলে ছিল ৭.৯৪ মিটার ; রবিবার দুপুর ১২টায় সেখানের পানিসীমা ৮.০০ মিটার। ফেঞ্চুগঞ্জে শনিবার বিকেলে ছিল ৯.৮৩ মিটার আর রবিবার দুপুর ১২টায় ৯.৯৪ মিটার।

লোভা নদীর পানি শনিবার বিকেলে ছিল ১৩.৮৬ মিটার ; আর রবিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩.৭২ মিটারে। সারি নদীর পানি শনিবারে বিকেলে ছিল ১০.৯১ মিটার আর রবিবার দুপুর ১২টায় সেখানের পানিসীমা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৫ মিটারে। এ ছাড়া ধলাই নদীর পানিও কমেছে। এ নদীর পানিসীমা শনিবার বিকেলে ছিল ১০.৬৬ মিটার ; রবিবার দুপুর ১২টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৯ পয়েন্টে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। পানি দ্রুত নেমে যেতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।’

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসএ)