চিলমারীতে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের রাস্তায় জলাবদ্ধতা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ মে ২০২২, ১৪:১৮

সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তি পরেছে পথচারীরা। এ যেন পথচারীদের জন্য নতুন কিছু নয় বরং এমন অবস্থাকে আর্শিবাদ হিসেবে ধরে নিয়েছেন এলাকার মানুষ। এমনিতেই খানাখন্দে ভরা চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাট।চিলমারীতে বেশকয়েটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ থাকলেও চলাচলের রাস্তাগুলোর এমন বেহাল দশা বছরের পর বছর থেকেই যাচ্ছে। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও নোংরা কাঁদায় হাটাচলার চরম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজার থেকে সবুজ পাড়া দূগার্ মন্দির এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জরাবদ্ধতায় ভোগান্তি পরতে হয় প্রায় লক্ষাধিক পথচারীদের। বিভিন্ন রাস্তার পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো এভাবেই তলিয়ে থাকে বৃষ্টির পানিতে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এই সড়ক থানাহাট বাজার থেকে কাশিম বাজার, বজরা, উলিপুর হয়ে জেলা শহর কুড়িগ্রামে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চিলমারী, কাশিমবাজার, মাচাবান্দা সুন্দরগঞ্জ, হরিপুর সহ প্রায় লক্ষ্যধিক মানুষ চরফেরা করেন এবং তারা থানাহাট বাজারে আসেন।

এছাড়া ও সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান গোলাম হাবীব মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এই জলাবদ্ধতা পার হয়ে কলেজে যেতে হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ফান্ড থেকে ইট গুরা (রাবিস) ফেলিয়ে রাস্তার এক পাশ কিছুটা উঁচু করলেও বৃষ্টিতে তা ধুয়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

একই কলেজের সহ অধ্যাপক মামুন অর রশ্মিদ বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত এই রাস্তাটির এমন দশা থাকলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে কলেজের শিক্ষার্থীদের কলেজ আসতে ব্যাপক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি রাস্তাটি যেন সংস্কার করা হয়।

শিক্ষার্থী শাম্মী, শিল্পী, রেহেনা, জান্নাতুল ফেরদৌসি বলেন, আমাদের কলেজ আসতে খুব সমস্যা হচ্ছে রাস্তায় পানি ও কাঁদা থাকার কারণে পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে আমরা প্রতিদিন কলেজে আসতে পারি না।

সবুজপাড়া এলাকার ধীরেন্দ্রা নাথ সরকার বলেন, বাড়ি থেকে বার হলেই কাঁদা পানি হেটে হাট বাজারে যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের (এসডিই) মো. তানভির আহমেদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :