খোলা আকাশের নিচে ভ্যানচালক সামসুলের পরিবারের দিনরাত

নূরে আলম সিদ্দিকী নূর, বিরামপুর (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ২২ মে ২০২২, ১৬:০১

সারাদিনের ক্লান্ত দেহে রাতে পরিবারকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ভ্যানচালক সামসুল হক। গভীররাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয় মাথাগোঁজার একমাত্র ঠাঁই টিনের চালার নড়বড়ে ঘর। শোয়ার ঘরের টিনের চালা, রান্নাঘরের ছাউনি, বেড়া আর ঘরের আসবাবপত্র ঝড়ের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়। সেই থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচেই কাটছে অসহায় সামসুলের পরিবারের দিনরাত।

গত শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ দাউদপুর (চণ্ডিপুর) গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঝড়ে সামসুল হকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে এ ঘটনার পরেরদিন উপজেলা প্রশাসনের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে সামসুল হক লিখিত আবেদন করলেও আজ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কেউই সামসুল হকের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখতেও আসেননি। ঝড়ের কবলে বাড়িতে থাকা তার একমাত্র ভ্যান গাড়িটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ে ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, কাঁথা-বালিশ, বিছানাপত্র রান্নাঘরের জিনিসপতসহ খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়েছে। তার বাড়িতে এখন খাবারের চুলাও জ্বলছে না। এছাড়া বাড়ির গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগিগুলো রাখার জায়গা না থাকায় তিনি অনেকটাই বিপদে পড়েছেন।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সামসুল হক বলেন, শুক্রবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমার বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ বাড়িতে এখন রাতযাপনের পরিবেশ নাই। আমার এ বিপদের সময়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান বা উপজেলা প্রশাসনের কেউই আমার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর দেখতে আসেননি। সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেলে আমি বাড়িটি মেরামত করে পরিবারকে নিয়ে ভালভাবে থাকতে পারব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সামসুল হক আর্থিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। তাকে খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট দেয়া হয়েছে। সরকার থেকে আর্থিক বরাদ্দ আসলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :