বিএনপিতে পদোন্নতির পর যা বললেন আব্দুস সালাম আজাদ

প্রকাশ | ২২ মে ২০২২, ২২:০১ | আপডেট: ২৩ মে ২০২২, ১১:১২

মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তার পদে আসীন হয়েছেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ। শনিবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১৫(খ) অনুযায়ী, ‘স্থায়ী কমিটি বা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের কোনো সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোনো সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক দলের অন্য কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না। তবে অনিবার্য কারণে দলের চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে ব্যতিক্রম অনুমোদন করতে পারবেন।’

এখন থেকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুস সালাম আজাদ।

সম্প্রতি গাজীপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিলন। সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন জেলার রাজনীতিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

আব্দুস সালাম আজাদের পদোন্নতি পাওয়ার বিষয়ে ঢাকাটাইমস তার সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘প্রথমেই আমি বলবো যে আমি ভালো নেই। কেননা যার হাত ধরে বিএনপি এতদূর এগিয়েছে, যিনি এই বাংলাদেশের কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশকে যিনি এগিয়ে নিয়েছেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন গৃহবন্দি। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। দলে পদোন্নতি পেয়েছি এটা আনন্দের বিষয়। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমার আনন্দ পরিপূর্ণতা পাবে না।’

আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দল আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবো।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। জীবন দিতে হলেও রাজপথেই থাকবো। তবু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আমি অতিসত্বর বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির সাংগঠনিক কিছু বিরোধ আছে সেগুলো নিয়ে কি পদক্ষেপ নেবেন জানতে চাইলে আব্দুস সালাম আজাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখনো সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্ত। যদি কোনো সমস্যা থেকেও থাকে তবে তা হাইকমান্ডের নির্দেশে অবশ্যই সমাধান করবো।’

(ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএম)