ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলবে আগামী বছরের জুন থেকে

প্রকাশ | ২২ মে ২০২২, ২২:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলতি বছরের ৩০ জুন ঢাকা-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এ বছর এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে না। আগামী বছরের জুনে পর্যটন নগরী কক্সবাজার যাবে ট্রেন।

রবিবার রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এতথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টের সিগনালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন কাজের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ইয়াসিমা-জিএসই জয়েন্ট ভেঞ্চার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এসময় মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে। এ ট্রেন যশোর পর্যন্ত যাবে। এখন দ্রুতগতিতে সেটির নির্মাণকাজ চলছে। এছাড়া আগামী পহেলা জুন থেকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে মাত্র ২০ কিলোমিটার বেগে রেল যেতে হয়। এছাড়া রেলের ওজনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে ওই সেতুতে। ফলে ডাবল ডুয়েল গেজ লাইন দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজ করতে হচ্ছে।

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত এখন থার্ড লাইন করা হচ্ছে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন করা হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল ডাবল লাইন করার কাজ হাতে আছে। যেসব জায়গায় সিঙ্গেল লাইন সেসব জায়গায় এখন ডাবল লাইন করছি। পূর্বাঞ্চলে যে মিটার গেজ লাইন চলছে সেগুলো আমরা ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত আমাদের যে রেললাইন সেটিরও কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত আমরা ট্রেন চালাতে পারব।

তিনি বলেন, রেলওয়েতে আমরা কী কাজ করছি সেটা দেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে। তবে রেলে আমরা কী করছি, সরকার কী করছে যা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই মানুষ জানতে পারে। আমরা সব সময় রেলকে মিডিয়ার সঙ্গে নিতে চাই। নতুন সচিব আসার পরে আমাকে বলেছেন যে আমাদের এখানে যে মিডিয়া সেল আছে সেটা অত্যন্ত দুর্বল। রেলকে আরও বেশি প্রচারে নিতে হবে এবং আমরা চিন্তা করছি এ বিষয়ে কোনো একটা অরগানাইজেশনকে দায়িত্ব দেব কি না। যার দ্বারা রেলের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক রাখবে প্রচারের ক্ষেত্রে।

রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত অভিযোগ আমি মন্ত্রী হবার পর থেকেই শুনছি। এ থেকে রেল মুক্ত হতে পারেনি। এজন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৭ সাল থেকে আমাদের টিকিটের বিষয়ে যারা সার্ভিস দিচ্ছিল (সিএনএস-বিডি) তাদের পরিবর্তে নতুন এক প্রতিষ্ঠানকে (সহজডটকম) দায়িত্ব দিয়েছি। মাত্র দুই-তিন মাস হয়েছে, আমরা অপেক্ষা করতে চাই, দেখি তার সার্ভিসটা কতটুকু আমরা পাই।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগগুলো আমরা সম্পূর্ণ মেনে নিচ্ছি। তবে এগুলো সমাধানের জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি কথা বলছি। ইনশাল্লাহ নিকট ভবিষ্যতে এধরনের সমস্যা থাকবে না।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/আরকেএইচ)