দর্শকদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত: ফারহান

প্রকাশ | ২৩ মে ২০২২, ১৪:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একসময় ছিলেন নামকরা রেডিও জকি (আরজে)। বর্তমানে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। তিনি মুশফিক আর ফারহান। বর্তমানে নাটকের যে কজন তারকা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন, এই অভিনেতা তাদের অন্যতম। সারা বছর তো বটেই, ঈদ উৎসবে তার অভিনীত নাটকগুলো দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।

গেল ঈদুল ফিতরে ভিন্ন ভিন্ন সাতটি গল্পের নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন ফারহান। সেগুলো হলো- মহিদুল মহিমের ‘নসিব’, মাহমুদ মাহিনের ‘লাস্ট লাভ’ ও ‘হাঙ্গর’, মেহেদি হাসান হৃদয়ের ‘প্রয়োজন’ ও ‘তুই আমার না তো কারো না’, জাকারিয়া শৌখিনের ‘ওয়েডিং ক্রাশ’ এবং ‘ভুলোনা আমায়’।

সম্প্রতি ঢাকাটাইমস-এর সঙ্গে আলাপকালে ফারহান জানিয়েছেন, মনের মতো গল্প এবং চরিত্র পেলে তিনি ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দায়ও কাজ করতে প্রস্তুত। ফারহানের সঙ্গে ওই সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় ছিলেন মো. মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম। অনুলিখন করেছেন আরিফ হাসান। 

ঢাকাটাইমস: রোজার ঈদে আপনার অভিনীত বেশ কয়েকটি নাটক আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?

মুশফিক আর ফারহান: আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। কতটা ভালো লাগছে তা বলে বোঝাতে পারব না। দর্শকদের ভালোবাসায় আমি অভিভূত। নাটকগুলোর জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। রোদের মধ্যে টানা শুটিং করতে হয়েছে। তবে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গিয়েছি। দর্শক নাটকগুলো ভালোভাবে নিয়েছে, এটাই অনেক বড় পাওয়া।

ঢাকাটাইমস: ঈদের কোন কোন নাটকের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছেন?

মুশফিক আর ফারহান: ঈদে আমার সাতটি নাটক প্রচার হয়েছে। সবকটির জন্যই প্রশংসা পেয়েছি। দর্শকদের অনেক সাড়া পেয়েছি। সবগুলোই ভিন্নধর্মী গল্পের। লোকেশনেও ভিন্নতা ছিল। গল্প অনুযায়ী লুকেও পরিবর্তন এনেছি। একটার সঙ্গে আরেকটার মিল যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছি। প্রতিটা কাজ খুব যত্নসহকারে করেছি।

ঢাকাটাইমস: ঈদের নাটকগুলোর কাজ সম্পর্কে কিছু বলুন

মুশফিক আর ফারহান: ঈদে প্রচারিত নাটকগুলোর মধ্যে ‘হাঙর’-এর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। সেখানে গরমের মধ্যে শুটকি পল্লীতে কাজ করা খুবই কঠিন ছিল। একটা দৃশ্য তো খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সাগরের একটা জায়গায় গিয়ে লাফ দিতে হবে আমাকে। সাগরের ভেতরে একা লাফ দেওয়া তো ভয়ংকর বিষয়।

এরপর ‘ভুলো না আমায়’ নাটকটির শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। একেবারে ধানখেতের ভেতরে একটা শট ছিল। মারা যাওয়ার পর যেখানে আমাকে রেখে যায়। কাদার মধ্যে শুয়ে থাকতে হয়েছে। ‘নসিব’ নাটকে পুতুলের ড্রেস পরে ডান্স করতে হয়েছে। ওই সময় প্রচুর রোদ ছিল। তার মধ্যে ওই ড্রেস পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শট দিয়েছি। প্রতিটি নাটকের কাজই এভাবে কষ্ট করে করেছি।

ঢাকাটাইমস: সামনে কোরবানির ঈদ। পরিকল্পনা কী?

মুশফিক আর ফারহান: দর্শকের যেমন প্রত্যাশা থাকে, গত ঈদে তেমনই কয়েকটি ভালো গল্পের নাটকে কাজ করেছি। ঈদকে টার্গেট করেই নাটকগুলো বানানো হয়েছিল। আসন্ন কোরবানির ঈদে আরও ভালো কিছু কাজ দর্শককে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। আপাতত এটাই পরিকল্পনা।

ঢাকাটাইমস: নানা ধরনের চরিত্রে কাজ করেছেন। কোন চরিত্রটি বেশি ভালো লেগেছে?

আসলে, নির্দিষ্ট কোনো চরিত্রের কথা বলতে পারব না। এখন পর্যন্ত যতগুলো চরিত্রে কাজ করেছি, প্রতিটিই প্রিয়। মা-বাবা যেমন বলতে পারবেন না কোন সন্তান তাদের প্রিয়, আমার অভিনীত নাটক আর চরিত্রগুলোও ওরকম। আগামীতেও গল্প অনুযায়ী যে চরিত্রে কাজ করা প্রয়োজন, সব চরিত্রেই কাজ করব। এমনভাবে করতে চাই, যা দেখে দর্শক সত্যি মনে করবেন। 

ঢাকাটাইমস: ছোটপর্দায় তো জায়গা পাকাপোক্ত, সিনেমায় কাজ নিয়ে কিছু ভাবছেন?

মুশফিক আর ফারহান: আপাতত ছোটপর্দাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। তবে যদি আমাকে ডিমান্ড করে এমন গল্প ও চরিত্র পাই, তাহলে ভবিষ্যতে সিনেমাতেও কাজ করব, ইনশা আল্লাহ।

(ঢাকাটাইমস/২৩ মে/এএইচ)