হারিস চৌধুরী? মাহমুদুর রহমান? ডিএনএ টেস্ট কবে?

আবদুল হামিদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২২, ০৯:১৬

বিএনপির এক সময়ের দাপুটে নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রয়োজন ডিএনএ পরীক্ষার। সেই পরীক্ষার জন্য আবেদনও করেছেন হারিসকন্যা সামিরা চৌধুরী। তবে সেই আবেদনের এখনো কোনো গতি হয়নি।

সিআইডির এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, হারিস চৌধুরী মৃত না জীবিত এ বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। পরিবার কেন তার মৃত্যু লুকিয়েছে, সে বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে তার পরিবারই ঝামেলাই পড়তে পারে বলে মনে করছেন এই সিআইডি কর্মকর্তা। কারণ হারিসের মৃত্যুর বিষয়টি সুরাহা না হলে পরিবার তার সহায়সম্পদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘হারিস চৌধুরীর বিষয়ে আগ বাড়িয়ে কিছুই করতে যাবে না সিআইডি। আদালত যদি কোনো নির্দেশ দেন, তাহলে বিষয়টি দেখবেন তারা। তবে মৃত্যু হয়েছে কবে এবং কোথায় দাফন করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য সিআইডির কাছে নেই।’

সিআইডির একটি সূত্রের মত, যেহেতু বিষয়টি আদালতে রয়েছে, তাই আদালতের নির্দেশ ছাড়া লাশ তোলা যাবে না। ইন্টারপোল বলছে, তারা রেড নোটিশ তখনই প্রত্যাহার করবে, যখন তাদের কাছে মৃত্যুর দালিলিক প্রমাণ পাবে। সিআইডি যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় তাহলেই বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাবে। জানা যাবে হারিছ চৌধুরী মৃত না জীবিত।

একটি সূত্র বলছে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট করা হলে তার কোন আপত্তি নেই। এছাড়া এতে তার কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে, তিনি সেটা করতে রাজি আছেন।

গত বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের দিকে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে বলে বলাবলি শুরু হয়। তবে নির্ভযোগ্য তথ্য দিয়ে হারিসের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি একটি দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, হারিছ চৌধুরী লেবাস পাল্টে মাহমুদুর রহমান নাম নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার কন্যা লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। হারিস চৌধুরীকে ঢাকার অদূরে সাভারের একটি মাদরাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বর্তমানে হারিছ চৌধুরীর স্ত্রী জোসনা আরা চৌধুরী, ছেলে নায়েম শাফি চৌধুরী ও মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী যুক্তরাজ্য প্রবাসী। সিলেটের কানাইঘাটের দিঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের দর্পনগর গ্রামে হারিছ চৌধুরীর বাড়ি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছর ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। এছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। বর্তমানে সেই মামলা বিচারাধীন।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :