খালাস চেয়ে হাজী সেলিমের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১২:০০ | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২২, ১১:৪০

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন তিনি।

মঙ্গলবার আইনজীবীর মাধ্যমে এই আবেদন করেন হাজী সেলিম। হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্নীতি মামলায় দশ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ২২ মে (রবিবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুরান ঢাকার এই সংসদ সদস্য। আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে কারাগারে মাত্র একরাত ছিলেন তিনি। পরদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খানের ভাষ্য, তাকে একজন বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিশেষ আদালতের রায়ে তাকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে ‘সহযোগিতার’ দায়ে হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগমকে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাজী সেলিম হাইকোর্টে আপিল করেন।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে হাজী সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত বছর দেওয়া রায়টি প্রকাশ করা হয়। ৬৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেখানে তাকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু হঠাৎই চিকিৎসার কথা বলে তিনি দেশত্যাগ করেন। পরে অবশ্য দেশে ফিরেও আসেন।

আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে সংসদ সদস্য হওয়া হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালে হাজী সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত।

কিন্তু ২০০৯ সালে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে ওই সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালে মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক।

ফের শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আংশিক আপিল মঞ্জুর করে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। আর তিন বছরের দণ্ড থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :