হাতিরঝিলে ওয়াটার বাস রেস্তোরাঁ বন্ধের বিষয়ে যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

কৌশিক রায় ও পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ মে ২০২২, ১১:৪৪ | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০২২, ১০:০০

‘হাতিরঝিলের পানি ও সৌন্দর্য ‘অমূল্য সম্পদ’ আর তা কোনোভাবেই ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না’ বলে এ সংক্রান্ত একটি রিটের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলেছেন হাইকোর্ট। হাতিরঝিল থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব অবৈধ স্থাপনাও সরাতে বলা হয়েছে রায়ে।

২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিটটি করেছিল। শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে ২০২১ সালের ৩০ জুন ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরে সেই রায়ের ৫৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার।

রায়ে বলা হয়েছে, প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ। এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করে রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে সব উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

হাতিরঝিলে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং ওয়াটার বাসের যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা টাইমস। তাদের ভাষ্য, সরকার চাইলে তারা ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাবেন। আর ওয়াটার বাস এবং চক্রাকার বাসযাত্রীরা বলছেন, বন্ধ হয়ে গেলে দর্শনার্থীও কমে যাবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাতিরঝিলকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করলে নানাবিধ সমস্যায় পড়বেন হাতিরঝিলের দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে নষ্ট হবে পরিবেশ। বেকার হয়ে পড়বেন কর্মীরা।

নিয়মিত ওয়াটার বাসযাত্রী ফজলু মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গুলশান থেকে কারওয়ানবাজার প্রতিদিন আসা যাওয়া করি ওয়াটার বাসে করে। এর কারণ হলো কোনো যানজট নেই, ধুলোবালিও নেই।’

তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যি হাতিরঝিলে ওয়াটার বাস বন্ধ হয়ে গেলে আমি মনে করি সড়কের ওপর চাপ পড়বে এবং যানজট বাড়বে। এছাড়া এলাকায় ধুলোবালিও বাড়বে আবার লেকের পানিও দূষিত হবে।’

আরমান হোসেন নামে আরেক যাত্রী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি প্রায় সময় অফিস বন্ধ থাকলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি। ওয়াটার বাসে চড়ে আনন্দ উপভোগ করি। এটি বন্ধ করে দিলে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।’

ফুড মোবাইল রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সন্ন্যাসী চিসিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের দোকান জাহাজী রেস্টুরেন্ট নামে পরিচিত। এখানে যদি কোনো ধরনের রেস্টুরেন্ট চালাতে না দেয় তাহলে মানুষ আসবে কেন? মানুষ ঘুরতে আসে হাতিরঝিলে এবং ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজে খেতে চায়। যদি বন্ধ করে দেয় আমরাও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিবো।’

জেটি ইনচার্জ জয়নাল ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি করিম গ্রুপের হয়ে কর্মরত। তাদের কোম্পানি ১৫টা ওয়াটার বাস চালাচ্ছে হাতিরঝিলে। প্রায় ৬৫ জন কর্মচারী কাজ করছেন।

জয়নাল বলেন, ‘জানি না আমাদের কোম্পানি কি করে। শুনেছি সব বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে গেলে আমাদেরও অন্য জায়গায় কাজ খুঁজতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র তাপসের মতবিনিময়

মতিঝিলের ফুটপাতে পড়েছিল বৃদ্ধার মরদেহ

মিরপুর বিআরটিএ’তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৪ দালালকে সাজা

খিলক্ষেতে ৬০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার

রাজারবাগের পুকুরে ডুবে পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু, ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায়

চার নারী একসঙ্গে ওয়াশরুমে! সেই রাতে গুলশানে কী হয়েছিল, জানালেন ভুক্তভোগী

রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

সংসদ এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে আটক সাবেক এমপিপুত্র, ছাড়া পেলেন মুচলেকায়

গুলশানে ‘মাতাল’ হয়ে মারামারিতে জড়ানো তিন তরুণী গ্রেপ্তার, বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মা ও স্ত্রীর পর না ফেরার দেশে লিটনও

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :