পি কে হালদারসহ ১০ জনকে হাজিরে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২২, ১৭:৫০ | আপডেট: ২৫ মে ২০২২, ১৮:১১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার এবং ৪২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এনআরবি গ্লোবার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১০ জনকে হাজির হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ বুধবার এই আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

গত ২৭ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

পি কে হালদারসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটভুক্ত অপর চার আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

চার আসামি হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর (সহকারী পরিচালক) আমিনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে এসব তথ্য জানান।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

দুদক ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/ইএস)