গ্রেপ্তার হতে পারেন ইমরান খান
অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। তার স্থলাভিষিক্ত হন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকেরা রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছেন। পিটিআই নেতা ইমরান খানের ডাকে লংমার্চের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য মোতায়েন করে রাজধানী অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বহু পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জনসংযোগ ঠেকাতে এবার ইমরান খান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রতিবেদনে শীর্ষস্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃতি দিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, দেশটির ইতিহাসে বৃহৎ জনসমাবেশের ঘোষণা দেন ইমরান খান। তার এই পরিকল্পনা প্রতিরোধ করতেই তাকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকর্পনার সঙ্গে জড়িত সূত্র বলছে, ইমরান খানকে আটকের পর তার পরিণতি এবং প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব কিছুই বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছে তারা। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আলোচনা করেই ইমরান খানকে আটকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ ঠেকানোর কোনো বিকল্প সরকারের কাছে নেই।
তবে পূর্ণ শক্তি দিয়েই পিটিআইয়ের ‘আজাদি মার্চ’ ঠেকানোর কথা মঙ্গলবারই জানিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে পিটিআই নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানও চালানো হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদসহ লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসলামাবাদে আসার প্রধান সড়কগুলো অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের ‘রেড জোনের’ নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার।
জিও নিউজ জানিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারির পরই লাহোরে ১৬২ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করে রাজধানী অভিমুখে লংমার্চ করার কথা জানিয়েছেন ইমরান খান ও তার সমর্থকরা।
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসএটি)