ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২২, ২২:২৪

ওমর ফারুক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীর খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়ছেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। চাহিদার চেয়ে যোগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে। আর এজন্য মিল মালিক ও পাইকার ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এখন বোরো মৌসুম। এই সময়ে দেশের প্রধান খাদ্যশষ্য চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়। তাই এই মৌসুম শুরু হলে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র। চালের দাম কমার পরিবর্তে বাড়ছেই। এই পরিস্থিতি সাধারণ ক্রেতাদেরকেই নয়, অবাক করেছে খুচরা ব্যবসায়ীদেরও।

রাজধানীর বাজারে এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ থেকে ৭০ টাকায়। বেড়েছে অন্যান্য চালের দামও।

বুধবার সরেজমিনে রাজধানীর কৃষিমার্কেট, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৭০ টাকা, নাজিরশাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, দেশি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ধানের ভরা মৌসুমেও এমন অতিরিক্ত দাম কেন-এ নিয়ে প্রশ্ন খোদ খুচরা ব্যবসায়ীদের।

দাম বাড়ার প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা ইয়াসিন আহমেদ বলেন, পাইকার বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে। কারণ হিসেবে পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন চালের নাকি সংকট। অথচ এখন চালের মৌসুম।

আরেক খুচরা ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, চাল কেনার সময় পাইকাররা বলছেন বাজারে চালের যোগান কম, তাই দাম বেশি। অথচ মৌসুমের শুরুতেই যদি এমন দাম থাকে তাহলে সামনে তো দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

তবে মূল কারণ হিসেবে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। মহাখালী কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সংকট না, মিল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছে। কারণ চালের মৌসুমে দাম বাড়ার কেনো যৌক্তিকতা নেই।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কৃষি মার্কেটের বিসমিল্লাহ ট্রেডা্র্সের পাইকার ব্যবসায়ী শাহাজাহান মিয়া বলেন, মূলত হাওর অঞ্চলে পানিতে অনেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে চালের যোগান কমে গেছে। তাই বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে এখন।

এছাড়াও সবজির বাজারও চড়া। বেগুনের দাম ৬০-৭০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, লেবু ২৫ টাকা হালি,ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, পেপে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা।

মাছের বাজারে দেখা যায় রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, ইলিশ ১০০০-১৪০০, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। খাশির মাংস ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে। এছাড়া লাল মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগী ৫৫০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগী ৩১০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ডজন, সাদা ডিম ১০৫ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/ওএফ/কেএম)