ঢাবি ক্যাম্পাসের মোড়ে মোড়ে জড়ো ছাত্রলীগ

‘এসব ভালো লাগে না’

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২২, ১২:৫২ | আপডেট: ২৬ মে ২০২২, ১৩:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এখনো রেশ কাটেনি ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষের। ওই ঘটনায় ছাত্রদলের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে  বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্রদল। তবে ক্যাম্পাসে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে কি না তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল কর্মসূচি পালন করতে এলে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার দেখা যায়, সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কোথাও কোথাও লাঠিসোটা হাতে মহড়া দিতেও দেখা গেছে। মূলত ছাত্রদলকে প্রতিহত করতেই এই অবস্থান। বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কিছু নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। এছাড়াও টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, ভিসি চত্বর ও পলাশীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন হলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এসব দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং মাঝেমধ্যে স্লোগানও দিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে ক্যাম্পাসে দেখি বিভিন্ন মোড়ে জটলা। বুঝতে পারলাম কোনো বিষয় আছে।’

কলাভবনে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষাথী বলেন, ‘ক্লাস শেষে হলে চলে যাবো। এসব পরিবেশ ভালো লাগে না।’

এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, ‘তারা (ছাত্রলীগ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমরাও ছাত্র। অতএব তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থানের যতটুকু অধিকার আমাদেরও ঠিক ততটুকুই অধিকার। তারা (ছাত্রলীগ) যেভাবে আমাদের সঙ্গে আচরণ করবে আমরাও তাদের সঙ্গে ঠিক তেমন আচরণই ফিরিয়ে দেব।’

ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছাত্রলীগ। দলটির নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। 

গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ জুন দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছিল। এ সময় একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি, রড ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এক জোট হয়ে নির্বাচন বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে অপতৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এমআই/এফএ)