বাগেরহাটে আগুনে পুড়ে ২১ দোকান ছাই

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২২, ১৪:০৬

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাটের শরণখোলায় আগুনে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজারে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার বেশি চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে রাজাপুর বাজারের ২১টি দোকান পুড়ে যায়।

আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হলেও কার দোকান থেকে তা বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ইলেকট্রনিক, ওষুধ, মুদি, স্টেশনারী, লন্ড্রি, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান  আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে, শুক্রবার সকালে বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় স্থানীয় সাংসদ মিলন তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করেন।

শরনখোলা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, শরণখোলার রাজাপুর বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা পাশের মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিটকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পানি ছিটিয়ে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা হয়। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় ২১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের বিপুল টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কোন দোকান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সময়মত আগুন নেভানো না গেলে পাশের আরও অসংখ্য দোকান পুড়ে যেত বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক গোবিন্দ দাস বাদল মন্ডল বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাই। ভোরে বাজারের পাশে থাকা লোকদের কাছে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যাই। সেখানে যেয়ে দেখি সারিবদ্ধ দোকানগুলো পুড়ছে। স্থানীয়ভাবে আমরা সবাই জড়ো হয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভায়। এই আগুনে আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠব বুঝে উঠতে পারছি না।

রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির জানান, আগুনে এই বাজারের ইলেকট্রনিক, ওষুধ, মুদি, স্টেশনারী, লন্ড্রি, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের মোট ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব দোকান মালিকরা তাদের কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি পুষাতে সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান এই নেতা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের প্রত্যেককে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এসএ)