ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, ইরাকে বিল পাস

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২২, ১৫:২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো ধরণের স্বাভাবিক সম্পর্ককে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার বিধান রেখে আইন পাশ করা হয়েছে ইরাকের পার্লামেন্টে। আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মিডল ইস্ট আই।

ওই দিন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ আল-হালবুসির সভাপতিত্বে ‘ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ’ শিরোনামে একটি বিল উত্থাপন করা হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ইরাকের ভেতরে ও বাইরে দেশটির সব নাগরিকদের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, দেশটিতে ভ্রমণ অথবা দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হলো।

ইসরায়েলে ভ্রমণকারী ইরাকের নাগরিকের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অথবা সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি করবে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হলেও এ শাস্তি দেওয়া হবে।

আইনটি আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানেরসহ দেশটির সব কর্মকর্তা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাতের কোম্পানি, সংবাদমাধ্যম, বিদেশি কোম্পানি ও তাদের কর্মকর্তা সবার জন্য প্রযোজ্য।

বিলটির ওপর ভোটাভুটির আগে ইরাকের প্রখ্যাত শিয়া রাজনৈতিক নেতা মোক্তাদা সাদরের একটি বাণী পড়ে শোনানো হয়। গত বছরের নির্বাচনে তার দল সর্বোচ্চ সংখ্যাক আসনে বিজয়ী হয়। তার বাণীতে তিনি বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া, বিলটি প্রস্তুতের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এ বিরাট অর্জন উৎসবের জন্য ইরাকিদের বাগদাদে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান।

৩২৯ সদস্যের পার্লামেন্টে বিলটির পক্ষে ভোট দেন ২৭৫ জন সংসদ সদস্য। বিলটি পাস হওয়ার পর পার্লামেন্টের ভেতরে ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দেন সংসদ সদস্যরা।

পরে কেন্দ্রীয় বাগদাদে হাজারো ইরাকি জমায়েত হয়। এবং তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

আইনটি কীভাবে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ ইরাক কখনোই ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এ ছাড়া, উভয় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।

তবে এ আইনের কারণে যেসব বিদেশি কোম্পানি ইরাকে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/আরআর)