যুবদলের নতুন সভাপতি টুকু পরিচিত মুখ, সম্পাদক মুন্না হঠাৎ লাইমলাইটে...

মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৮:৩০ | প্রকাশিত : ২৭ মে ২০২২, ১৭:৪৫

আজই ঘোষিত হয়েছে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের আট সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি, যার সভাপতি করা হয়েছে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে, আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মোনায়েম মুন্না।

সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে কে না চেনে? ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি, অতঃপর যুবদলের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিচিতি যেমন রয়েছে তার, তেমনি সাবেক উপমন্ত্রী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম আসামি আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই হিসেবেও তার পরিচয় সবাই জানে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অন্যতম হোতা ও গ্রেনেড সরবরাহকারী হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনও টুকুর ভাই।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের অন্যতম মুখ হয়ে উঠা টুকু বরাবরই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতেৃত্বের সুনজরে ছিলেন এবং আছেন। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থীও ছিলেন টুকু। তার যুবদলের সভাপতি হওয়াতে খুব যে একটা চমক আছে তা নয়। একাধিক মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন সময় কারাগারে থাকা টুকু আন্দোলন সংগ্রামে কতটা সফল হবেন সে প্রশ্ন থাকলেও তার পদ প্রাপ্তি আকস্মিক কোনো বিষয় নয়।

কিন্তু যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার নিয়োগপ্রাপ্তি কিছুটা হলেও সংগঠনের অনেকের কাছে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ছাত্রদলের একসময়ের মধ্যম সারির নেতা মোনায়েম মুন্না সবশেষ যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে ফ্রন্টলাইনে নয়, তাকে সেই অর্থে প্রচারের আলোয় আগে দেখা যায়নি।

কিন্তু ঢাকার সাবেক মেয়র, মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে তাকে যুবদলের রাজনীতিতে অনেকেই সমীহ করে থাকেন। অন্যসব পরিচয়ের চেয়ে মির্জা আব্বাসের আত্মীয় পরিচয়ই তাকে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়ে দিলো কিনা এমন আলোচনায় সংগঠনের মধ্যে বেশী বলে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে একধিক নেতা-কর্মী প্রশ্ন তুলেছেন।

টুকু-মুন্না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবেন? সে প্রশ্নতো রয়েই যাচ্ছে, পাশাপাশি আগের কমিটির ব্যর্থতা তাদের তাড়িয়ে বেড়াবে কিনা সময় বলে দেবে।

এর আগে আজ শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞতিতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে যুবদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর ১১৪ সদস্যের আরেকটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু সিনিয়র সহ-সভাপতি, নুরুল ইসলাম নয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মামুন হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণেরও কমিটি ঘোষণা করা হয় ওই সময়ে। মেয়াদ শেষের প্রায় এক মাস পর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুবদলের কেন্দ্রীয় ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

এ আংশিক কমিটি দিয়েই চলছিল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে আট সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হলো।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এমএইচ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :