রেড আর্মি কী? ছাড়া পেল তার এক নেতা

প্রকাশ | ২৮ মে ২০২২, ১৪:৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জাপানের সশস্ত্র গোষ্ঠী রেড আর্মি বা লাল ফৌজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফুসাকো শিগেনবু বিশ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসি জানায়, জাপানের রেড আর্মি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোষ্ঠীটি বেশ কিছু জিম্মি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানোর পাশাপাশি ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে হামলাও চালিয়েছিল।

১৯৭৪ সালে নেদারল্যান্ডের হেগে ফ্রান্সের দূতাবাসে হামলা এবং দেশটির রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তাদের ১০০ ঘণ্টার জন্য জিম্মি করে রেড আর্মির তিন সদস্য। এর পর ফ্রান্স রেড আর্মির এক সদস্যকে মুক্তি দিলে এ জিম্মি দশার অবসান ঘটে। আর তারা সিরিয়া পালিয়ে যায়।

যদিও ওই ঘটনায় ফুসাকো শিগেনবু সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু ২০০৬ সালে জাপানের একটি আদালত তাকে ২০ বছরের সাজা দেয়। রায়ে বলা হয়, শিগেনবু সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তিনি জিম্মিকারীদের সহায়তা করেছিলেন।

ফুসাকো রেড আর্মি ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি আইনের মধ্যেই নতুনভাবে সংগ্রামের পথ খুঁজে বের করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

১৯৮৮ সালে রেড আর্মি সর্বশেষ ইতালিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি ক্লাবে গাড়িতে বোমা হামলা চালায়।

শনিবার কারাগার থেকে বের হওয়ার পর, তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে নিরাপদ মানুষদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষমা চান তিনি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘এটি অর্ধ-শতাব্দী আগের ঘটনা… কিন্তু আমরা আমাদের যুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়ে নিরপরাধ লোকদের ক্ষতি করেছি, যারা আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল।

এর আগে ১৯৭২ সালে তেল আবিবের লড এয়ারপোর্টে হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।

লাল ফৌজ বা রেড আর্মি কী

লাল ফৌজ বা রেড আর্মি হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপ্লবাত্মক সমাজতান্ত্রিক যোদ্ধাদের দল। তারা ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালে ছড়িয়ে পড়া রুশ গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এটি ১৯১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৯৪৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

পরবর্তীতে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের জাতীয় পর্যায়ের সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়। ১৯৩০-এর দশকে লাল ফৌজ বিশ্বের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে "লাল ফৌজ" শব্দগুচ্ছটি ব্যাপকভাবে ব্যবহারসহ বিরাট পরিচিতি লাভ করেছিল।

যারা সমাজতন্ত্র পছন্দ করতেন না তারা লাল শব্দটি নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেন। অতীতে যে-কোন ধরনের বামপন্থী সামরিক দলকে নির্দেশ করার জন্য লাল ফৌজ শব্দ ব্যবহার করা হত। তাদের ভাষায় লাল ফৌজ হচ্ছে সমাজতন্ত্রের বিস্তারের প্রক্রিয়াতে সহায়ক সামরিক সংগঠন যা প্রাথমিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তায় নিয়োজিত।

 (ঢাকাটাইমস/২৮মে/আরআর)