‘ওর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জুন ২০২২, ১৬:১৫ | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২২, ১২:২১

একে থামানোর কি কেউ নেই? আমাদের সংগীতাঙ্গন কি এতটাই অভিভাবকহীন? এই দেশের গানের ভান্ডার হাসন-লালন, শাহ আব্দুল করিম, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের মত গুণীজনদের গান দিয়ে সমৃদ্ধ। আরো কত গুনিজন লিখে গেছেন ভাটিয়ালি, জারী-সারী পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধকসহ আরো কত গান। আছে বিশ্বের দরবারেও বাংলা গানের উচ্চ মর্যাদা।

সেই দেশে একের পর এক গানকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে যাচ্ছে। এই অসুস্থ মানুষটা। একটা গান না, তাও আবার অসংখ্য গান। এবার রবীন্দ্রসংগীতকেও রেহাই দিল না। এতো বড় সাহস হয় কী করে ওর? রবীন্দ্রসংগীতকে এভাবে বিকৃত সুরে এত জঘণ্য গলায় গাওয়ার? এখনো পর্যন্ত ঠিক করে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না। উনি হাজির হয়েছে রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে!’

‘ফাইজলামিরও বোধহয় একটা লিমিট থাকা উচিত। এটার মানসিক চিকিৎসা দরকার। বিকৃত মস্তিষ্ক বলেই বিকৃত কিছু আবিষ্কার করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সংগীত নিয়ে যেন অন্যরকম এক তামাশায় লিপ্ত হয়েছে এই অসুস্থ মানুষটা। নিজেকে যে কী ভাবে উনি, আল্লাহই জানেন। দর্শক যত কথাই বলুক, যত গালিই দিক। তাতে তার কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ লাজলজ্জার মাথা তো সেই কবেই ভর্তা করে খেয়ে বসে আছে।’

‘কোন গান হিট করলে সেটার বারোটা ওনার বাজাতে হবে। নিজেতো আকথা, কুকথা যা মুখে আসে তাই গাচ্ছে। কিছুদিন আগে হাসন রাজার গান গেয়েছে এখন আবার রবীন্দ্রসংগীত। এভাবে যদি দিনের পর দিন সংগীত বিকৃত করতে থাকে। তাহলে আমাদের সংগীত কতটা হুমকির মুখে পড়বে ভবিষ্যতে সেটা এখনই ভাবাটা খুব দরকার।’

‘শুধু ও একা না ওর পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য একদল বিকৃত রুচির জঘন্যতম মানুষ আছে। যাদের ইন্দনে ও এসব করার সাহস পায়। দেশে সংগীতশিল্পী, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর বড্ড আকাল পড়েছে। তাই উনি গান গাওয়ার নামে সংগীতের পিন্ডি চটকাচ্ছে। এতো গুরুজন, এতো গুণীজন এত সংগীত বোদ্ধা এই দেশে। আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি। প্লিজ ওকে থামান! ওর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এভাবে আমাদের সংগীতের অপমান হতে দিয়েন না।’

লেখক: মণি চৌধুরী, তরুণ কণ্ঠশিল্পী

(ঢাকাটাইমস/০৫ জুন/এলএম/এএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :