জ্বালানি ছাড়াই ম্যাজিক চালে ভাত তৈরি

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০২২, ০৯:৪৭ | আপডেট: ০৯ জুন ২০২২, ০৯:৪৯

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। রান্নার কাজে গ্যাসের দামও পিছিয়ে নেই। এ অবস্থায় ভাত রান্না করা বেশ সমস্যার মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ভাত রান্না করতে সব থেকে বেশি গ্যাস পোড়ে। তবে এর সমাধান রয়েছে ম্যাজিক চালে। জ্বালানি ছাড়াই ভাত তৈরি। মানে আগুনে বসানোর দরকারই নেই। শুনেছেন কী এই চালের কথা আগে? জেনে নিন।

এমনই ম্যাজিক চালের সন্ধান পাওয়া যায় প্রথমে ভারতের বিহারে। সেখানে বসবাসকারী কৃষক বিজয় গিরির ক্ষেতেই প্রথম উৎপন্ন হয় এই চাল। তবে চাহিদা অনুযায়ী ধীরে ধীরে এটি উৎপন্ন হচ্ছে প্রায় বহু দেশে। ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে মাজুলা দ্বীপে চাষ হচ্ছে এই চাল। যার নাম ‘বোকা চাল’। সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি এই রকমের চাল রয়েছে তবে এই বোকা চাল বা ম্যাজিক চালে অদ্ভুত এক রকমের বিশেষত্ব রয়েছে। যা রান্না করতে দরকার শুধু ঠান্ডা পানি। ভাবছেন কী করে? তাহলে জেনে নিন পদ্ধতি।

 ঠান্ডা পানিতে এই চাল প্রায় ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলেই ফুলে গিয়ে একদম তৈরি ধবধবে সাদা ম্যাজিক চালের ভাত।

গরম পানিতেও রান্না করতে পারেন এটি। তবে ঠান্ডা পানির তুলনায় গরম জলে সময় অনেক কম লাগে। এমনই মত ম্যাজিক চাল বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের। তাদের মতে গরম পানি হলে শুধু মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট এটি ভিজিয়ে রাখলেই তৈরি ভাত। যদি ঠান্ডা পানি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। তাহলে একেবারে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এই চাল।। বলা বাহুল্য, ভারতের অসমে একটি নামকরা উৎসব মাঘ বিহু তে, ‘বোকা’ ভাত বা ম্যাজিক চাল খাদ্য হিসেবে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। এই চাল ভৌগলিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল ২০১৮ সালে। একে অনেকেই “কোমল রাইস” অথবা “জাদুর রাইসও”বলে থাকেন।

এই ধানের চালের বিশেষত্ব হল, এটি রান্না করার জন্য কোনও জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। এই অভিনব চালটি শুধুমাত্র সাধারণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ভাতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।

অন্যদিকে এই ধান চাষের খরচও বেশি কিছু নয়। যেহেতু রাসায়নিক সার লাগে না তাই এই চাষ করতে বেশি খরচ হয় না । ১৫০ থেকে ১৬০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায় এই চাল। বাজারে এই চাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

ম্যাজিক চালের একটি বড় গুরুত্ব হলো, এটি সুগার ফ্রি। পাশাপাশি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট এবং প্রোটিন তাই পুষ্টি গুণেও এই চাল আমরা রোজ যে চাল খাই তার সমান। সুতরাং জ্বালানি সাশ্রইয়ের মাধ্যমে এই চালের ভাত বাড়িতে রান্না হতেই পারে প্রতিদিন।

(ঢাকাটাইমস/৯ জুন/আরজেড)