ইউরিন ইনফেকশন ও কিডনি রোগেও বিছানায় প্রস্রাব করতে পারে শিশুরা: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ওয়ার্ল্ড বেডওয়েটিং ডে বা বিশ্ব বিছানায় প্রস্রাব দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে বিএসএমএমইউর সি-ব্লকের এমআর খান হলে দিনটি উপলক্ষে সেমিনার আয়োজন করে বিএসএমএমইউর শিশু নেপ্রোলজি বিভাগ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবাই চাই শিশুর হাসিমাখা মুখ দেখতে। শিশুদের মুখের এ হাসি কেড়ে নেয় রোগ ব্যাধি। শিশুদের অন্যান্য রোগের মতো বিছানায় প্রস্রাব করাও একটি রোগ। তবে সচেতনার অভাবে অনেক অভিভাবক এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেন, লজ্জাবোধ করেন। কিন্তু বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ হিসেবে চিকিৎসা করা হবে।
বিছানায় প্রসাব কার মূল কারণ হতে পারে শিশুর ইউরিন ইনফেকশন, কিডনি রোগ। এমন হলে অভিভাবকদের উচিত হবে দ্রুত শিশুকে চিকিৎসা করানো। শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা রোগ নিয়ে বিএসএমএমইউয়ে আসলে সেটি স্ক্রিনিং করে চিকিৎসা দিলে আক্রান্ত শিশুটি দ্রুত সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে বলে জানান বিএসএমএমইউর উপাচার্য।
শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম, ও অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জন রায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বলা হয়, শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা একটি রোগ। ইউরিন ইনফেকশন ও কিডনি রোগের কারণেও এটা হতে পারে। প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের অসম্পূর্ণতা বা অপরিপক্বতা থাকে ওই শিশুদের। যার ফলে শিশুটি ঘন ঘন প্রস্রাব করে, যখন তখন যেখানে সেখানে প্রস্রাব করে। বিষয়টি খোদ শিশু ও তাদের মা-বাবার জন্য বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর হলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০-১৫ শতাংশ ছেলেরা পাঁচ বছর বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে।
সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছরের বয়সের শিশুরা বিছানায় প্রসাব করা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ অভিভাবক এটি রোগ হিসেবে আমলে নেন না। আমলে না নেওয়ার ফলে শিশুরা কষ্ট ভোগ করে। সেমিনারে শিশু অনুষদের অধীন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, বিএসএমএমইউয়ে শিশু নেফ্রোলজি বিভাগে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ডি-ব্লকের ততীয় তলায় ব্লাডার ক্লিনিক উদ্বোধন করে বিএসএমএমইউর উপাচার্য। গত অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত ব্লাডার ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়ে ৭৯ জন শিশু পুরো সুস্থ হয়েছে। এ ব্লাডার ক্লিনিক থেকে প্রতি মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিছানায় প্রসাব করা শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে শিশুদের প্রস্রাব করা শেখানো, বিভিন্ন ব্যায়াম করা শেখানো, মনিটাইজেশনসহ নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিশু ও শিশুর অভিভাবকদের কাউন্সিলিং করা হয়। বিশ্ব বিছানায় প্রস্রাব দিবস ৩১ মে সারা বিশ্বে পালন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুন/এএ/এসকেএস)