কুয়াকাটার ইউপি নির্বাচন: কে পরবেন বিজয়ের মালা?
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার ৭ নম্বর লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৫ জুন কে পরবেন বিজয়ের মালা সেদিকেই তাকিয়ে আছেন দক্ষিণাঞ্চলের শেষ প্রান্তের সাধারণ মানুষরা।
ক্ষমতাসীন নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান, আনছার উদ্দিন মোল্লা তার প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আবারো আগামী বিজয়ের মালা পরবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অপরদিকে দীর্ঘ ৩৮বছর পূর্বের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আ. হাই এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বাবার স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরতে এগিয়ে চলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে শফিকুল আলম (শফি), এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মোসলেম মুসুল্লি (মুসা), ইসলামের আলো ছড়াতে এবং উন্নয়নের শপথে বিজয়ের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নতুন নেতৃত্বে এই নির্বাচনে বিজয়ের মালা বরণ করতে ভোটারদের ধারণা; সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশে ভোট গ্রহণ হলে পাল্টে যেতে পারে ৭ নম্বর লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের গতিধারা। নতুন নেতৃত্বে নতুন মুখ বিজয়ী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা তরুণ ভোটারদের।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতোমধ্যে শেষাবধি গ্রামে গ্রামে দিনভর নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা মনে করেন, অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ের মালা পরাবেন বলে এমনটাই ধারণা।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম (শফি)-সহ হাত পাখা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মোসলেম মুসুল্লি (মুসা) অভিযোগ করেন যে, নির্বাচনী প্রচারণায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের বিভিন্নভাবে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ভোটার সমার্থক না থাকলেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে এমনটাই দাবি করেছেন আনসার উদ্দিন মোল্লা।
ভোটারদের দাবি তারা যেন সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন।
সাধারণ ভোটাররা আরো বলেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকায় সাধারণ মানুষ বেছে নিতে পারবেন তাদের সঠিক প্রার্থীকে। তাহলেই তারা ফিরে পাবেন গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব এমনটাই আশাবাদী।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এআর/এসএ)