১১ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন খোকশাবাড়ির ভোটাররা

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২২, ১৬:৪৬

নুর আলম বাবু, নীলফামারী

নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

পৌরসভার সঙ্গে সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত মামলার অবসান ঘটিয়ে প্রায় ১১বছর পর ভোটারা উৎসবমুখোর পরিবেশে দিচ্ছে ভোট।

তবে ভোটাদের বাড়তি আনন্দ দিয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি। আর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন। বিশেষ করে সকাল থেকেই নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তারা ভোট দিচ্ছেন। 

বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এদিকে সন্যাসীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশের সহযোগিতা করছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। 

ভোট দিতে আসা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার হাজেরা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন পর ভোট দিবার পাইনো। প্রথমবারের মতো মেশিনত ভোট দিছি, ভয়ও লাগছিলো, পরে দেখছি ভোট দেয়া খুবই সহজই। পছন্দমত প্রার্থীকেই ভোট দিছি।

টেপুর ডাঙ্গা এলাকার শাহানাজ পারভীন বলেন, মেশিনের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই জাল ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি ইভিএম মেশিনে বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গে আমার ছবি স্ক্রিনে চলে আসছে।

নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, ২০১১ সালের ৫ জুন এই ইউনিয়নে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ২০১৬ সালের মধ্য সময়ে মেয়াদ শেষ হয়। ২০১৫ সালে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি, ইটাখোলা, কুন্দপুকুর ও টুপামারী ইউনিয়নের কিছু অংশ নীলফামারী পৌরসভায় সংযুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা হলে পৌরসভাসহ ওই চার ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত হয়। 

এরই মধ্যে সীমানা জটিলতা নিরসন হওয়ায় ২০২০সালের ২৯ অক্টোবর টুপামারী, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর নীলফামারী পৌরসভা, ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইটাখোলা ও কুন্দপুকুর ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হলেও অজানা কারণে নির্বাচনী তফসীল থেকে বাদ পড়ে খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন।

জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সর্বশেষ ধাপে খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ইভিএম যন্ত্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডে ১০টি  ১০ কেন্দ্রে ৭০টি বুথে ভোট-গ্রহণ করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচনী এলাকায় ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করা হচ্ছে, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এআর)