অপহরণ মামলার আত্মগোপনে থাকা যুবককে উদ্ধার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২২, ২১:২৮

অপহরণ মামলার আত্মগোপনে থাকা যুবক আসাদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশনের (পিবিআই)। উদ্ধার হওয়ার পর আসাদ পিবিআইকে জানায়, প্রেমের টানে তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন।

বুধবার বিকালে পিবিআইয়ের যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উদ্ধার হওয়া আসাদুল ইসলাম যশোরের মনিরামপুর থানার এনায়েতপুর গ্রামের মো. আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি মাস্টার্সে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়ির কাজ কর্ম দেখাশুনা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এলাকার কিছু লোকজন আবদুল কাদেরের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই চাঁদা আদায় করতে না পেরে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে আবদুল কাদেরের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে তিন রাস্তার মোড় থেকে শাহিন আলমের নেতৃত্বে মো. আসাদুলের গতিরোধ করে। পরে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসাদের বাবা আবদুল কাদের গত ১৩ ফেব্রুয়ারি যশোরের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। মনিরামপুর যশোরের সিআর মামলা নম্বর-১৮, ধারা ৩৬৪/১০৯ পেনাল কোড। আদালত ওই ভুক্তভোগী আসাদকে উদ্ধারের জন্য যশোরের পিবিআইকে নির্দেশ দেন। এরপর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান মামলাটির তদন্তভার নেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় এসপি রেশমা শারমিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর (দাসপাড়া) এলাকার মৃত মালগুনির স্ত্রী মোসা. মহিলা খাতুনের বাড়ি থেকে আসাদুল ইসলাম কে উদ্ধার করেন।

উদ্ধার আসাদুল ইসলামের বরাতের পিবিআই জানায়, আসাদুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী শমসের আলী সরদারের মেয়ে জাহানারা একে অপরকে ভালবাসতো। জাহানারাকে বিয়ে করার জন্য আসাদুল ইসলাম তার বাবা মাকে জানালে আসাদের পরিবার মেনে নেবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গত ২৬ জানুয়ারি আসাদুল ইসলাম ও জাহানারা প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরা যায়। সেখানে তারা বিয়ে করে। এরপর তারা ঢাকা সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে থাকে। আসাদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের এসপি রেশমা শারমিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার আমরা দীর্ঘ অনুসন্ধান করি। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আসাদকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পরে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এএ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার, বিপুল কনটেন্ট জব্দ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা: ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডিবিতে যা বলেছেন কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান

শেরপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে এসেছে কোটি টাকার গাঁজার চকলেট-কেক

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৮

সনদ জালিয়াতি: কারিগরি বোর্ডের ওএসডি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি

বুথ ভেঙে নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা, বেরিয়ে এল রহস্য

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :