সাংবাদিকদের জরিমানার আইনের তথ্য সঠিক নয়: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২২, ২২:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাংবাদিকেরা ভুল করলে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার আইন করার কথা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো আইন হচ্ছে না।’

বুধবার বিকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

সাংবাদিকেরা ভুল করলে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রেখে একটি আইন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক জানান। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

বুধবার তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রেস কাউন্সিলের বেশিরভাগ সদস্যই সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তারাই প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর আগে একটা প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি এখনও প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য দেশে কোনো নতুন আইন হচ্ছে না।'

নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেক অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি এমন কি ইউটিউব চ্যানেলে কর্মরতরাও সবাই সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের কেউ কেউ আবার জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করে। সেজন্য আবার বেতন না দিয়ে উল্টো তাদের কাজ থেকে টাকা নেয়। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়। বাস্তবতা হল, এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সাথে আলাপ করেছি নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের জন্য।’ 

বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ও নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, উম্মুল ওয়ালা সুইটি ও আঙ্গুর নাহার মন্টি মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেন। এসময় বিএফইউজের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি পত্র হস্তান্তর করেন সভাপতি ওমর ফারুক।

নবম ওয়েজবোর্ড সংশোধন করে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমে তা দ্রুত বাস্তবায়ন, এবং বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট, এক্রেডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার, পত্রিকার ঠিক প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, ডিক্লারেশনের ক্ষমতা ডিসি অফিস থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ও গণমাধ্যম নিয়ে আইন প্রণয়নে বিএফইউজের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার দাবিসহ পত্রটি উপস্থাপন করেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ। ওমর ফারুক এবং মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এসময় বক্তব্য রাখেন।

সাংবাদিক নেতাদের দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/কেএম)