বন্যায় দূষিত পানি কীভাবে বিশুদ্ধ করে পান করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১৯:৫০ | প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০২২, ১৯:৪৪

পানি যদি দূষিত হয় মরণ ডেকে আনার আশঙ্কা থাকে। বিশুদ্ধ পানিতেই জীবন। মানবদেহের প্রায় ৭৫ ভাগ পানি। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ১ দশমিক ৫ লিটার পানি পান করা উচিত। পানি মানবদেহের বিভিন্ন বায়োকেমিক্যাল বিক্রিয়া, যেমন—হজম, খাদ্য গ্রহণ, বিপাক, বিভিন্ন উপাদান বহন, ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে নির্গমন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, এসিড-বেসের সমতা রক্ষা করে।

এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যায় কবলিত মানুষ। এই সময় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। বন্যার দূষিত পানি পানে হতে পারে কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, ডায়রিয়া এবং টাইফয়েডের মতো মারাত্মক পানিবাহিত রোগ। বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। তাই প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি পান করা।

যেভাবে পানি বিশুদ্ধ করবেন-

১. ফুটানো পানি: ফুটিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। উচ্চতাপে ১০/২০ মিনিট পানি ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ফলে পানিতে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়, ধাতব লবণ থিতিয়ে পড়ে ও দ্রবীভূত গ্যাস বের হয়ে যায়। পানির সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য ফুটানোর পরে ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। বন্যার সময় পানি ফুটানোর পরে নিঃসন্দেহে ফুটানো পানি পান করা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে বেশি পানি ফুটালে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়।

২. বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পানি বিশুদ্ধকরণ

ফিটকারি: পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও ফিটকিরির মাধ্যমে পানিবাহিত ভাইরাসজনিত জন্ডিসের জীবাণু ধ্বংস হয় না। পানিবাহিত জন্ডিস প্রতিরোধের জন্য পানিকে টগবগ করে অন্তত ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে। পানিবাহিত জন্ডিস শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। গর্ভাবস্থায় জন্ডিস মায়ের জন্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি গর্ভস্থ শিশুর জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় জন্ডিসের কারণে প্রসব পরবর্তী রক্তপাত বৃদ্ধি ও লিভারের তীব্র অসুস্থতার কারণে জীবন আশঙ্কাপূর্ণ হতে পারে। তা ছাড়া এ কারণে গর্ভপাত, অকাল প্রসব, গর্ভে মৃত সন্তান এবং গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। কাজেই পানি ফুটিয়ে পান করাই নিরাপদ। এর পরিবর্তে নলকূপের পানিও পান করা যাবে।

আয়োডিন: এক লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। তবে এই কাজটি শুধুমাত্র দক্ষ কারও মাধ্যমে করার পরামর্শ দিয়েছেন মিস্টার মুঈদ। কেননা পানি ও আয়োডিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে সেই পানি শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

হ্যালোজেন: নানা রকম ট্যাবলেট ব্যবহার করে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। এর মধ্যে হ্যালোজেন অতি পরিচিত ট্যাবলেট। প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট গুলিয়ে রেখে দিলে এক ঘণ্টা পর তা থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। পটাশ: ২৪ লিটার পানিতে এক গ্রাম পটাশ মিশিয়ে ছয় ঘণ্টা রেখে দিলে সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়।

৩. বৃষ্টির পানি: বৃষ্টির পানির গুণমান উন্নত করতে দুটি কাজ করতে পারেন। বৃষ্টির পানি ফুটিয়ে নেওয়া বা পানি ফিল্টার করে পান করা। পানি ফুটানো হলে প্যাথোজেনগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ফিল্টারের ফলে ধূলিকণাসহ অন্যান্য দূষকগুলো দূর হয়ে যাবে। বৃষ্টির পানি কীভাবে সংগ্রহ করছেন তার ওপরও পানির মান নির্ভর করে। আকাশ থেকে সরাসরি বৃষ্টির পানি পরিষ্কার বালতি বা বাটিতে সংগ্রহ করতে পারেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর থেকে পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করে রাখলে পানি পানের উপযোগী হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/পিআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :