পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে খুলনায় উৎসবের আমেজ

এস এম মাহবুবুর রহমান, খুলনা
 | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২২, ১৬:১৬

স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নই নয়। বিশ্বের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি চ্যালেঞ্জের নাম।

সেতুটি বাস্তবায়িত হওয়ায় একদিকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ যেমন সহজতর হবে। অন্যদিকে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বাড়বে শিল্প প্রতিষ্ঠান। হ্রাস পাবে বেকারত্ব।

বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের এই বিরল দৃষ্টান্ত ইতিহাসে কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। এমন নানা উক্তি এখন রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।

২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে খুলনাসহ এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। আগে ভাগে করা হয়েছে পরিবহন বুকিং। ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠান হাতছাড়া করতে চান না অনেকেই। স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মহানগরীর প্রবেশদ্বার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহে গেট নির্মাণ, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ আলোকসজ্জিতকরণ ও শহীদ হাদিস পার্কে ডিজিটাল বোর্ড ও প্যানা স্থাপনের মাধ্যমে খুলনাঞ্চলে বর্তমান সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের প্রচার-প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন।

বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশের মানুষ এখন উৎসবমুখর পরিবেশে রয়েছে। উদ্বোধনের দিন সেখানে উপস্থিত হয়ে আমরা কালের সাক্ষী হয়ে থাকতে চাই। খুলনা বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এক লাখ মানুষ নিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় উৎসব উদযাপন করা হবে।’

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘এ সেতু এতদাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে, যা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণ দেশের মানুষের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অমরকীর্তি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ‘নিন্দুকের নিন্দা আর নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে উন্নয়নের নতুন রেকর্ড গড়েছেন। সেতুটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। শিল্প নগরী খুলনাসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় নতুন নতুন কল-কারখানা গড়ে উঠবে। বাড়বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। বিশেষ করে সেতুর সঙ্গে রেললাইন থাকায় মালামাল পরিবহন সজতর হবে।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কারণে শুধু যে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ উপকৃত হবে তা নয়। বরং সমগ্র দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। এসব নানা কারণে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে খুলনায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় মানুষের মাঝে যেমন আনন্দ উৎসবের সৃষ্টি হয়েছিলো, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে এ জনপদের সাধারণ মানুষের মাঝে ঠিক তেমন আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে। পদ্মার পাড়ের সমাবেশে খুলনা থেকে লক্ষাধীক নেতাকর্মী ও সমর্থক নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চলছে প্রস্তুতিমূলক বর্ধিত সভা। সর্বোপরি আকাশের তারকা যেমন রাতের আধার আলোকিত করে, পদ্মা সেতু তেমনই শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জ্যোতি ছড়াবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে।’

তিনি আরও বলেন, যে মুহুর্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে, সেই মুহুর্তে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নতুন করে ষড়যন্ত্র চালানোর পাশাপাশি নানা প্রকার উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :