পটুয়াখালীতে মাদক সেবনে অভিযুক্ত সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজ

প্রকাশ | ১৮ জুন ২০২২, ১৯:২০

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালীতে মাদক সেবনে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন নামে এক পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিধিবহির্ভূতভাবে পুলিশ লাইন থেকে লোকালয়ে বের হওয়ার অপরাধে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল হাসান।

এদিকে ঘটনার দিনে মাদকের আসর বসাতে বাধা দিতে গিয়ে নাটকীয় মামলার শিকার হয়ে জেলেহাজতে রয়েছেন বৃদ্ধ মামা গোলাম সরোয়ার, দুই ভাগনে স্মরণ, সাব্বির এবং ভাড়াটিয়া নোমান।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ প্রকৃত ঘটনা যাচাই-বাছাই না করে সাক্ষী গ্রহণ না করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে দিয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মিথ্যা মামলা করান।

ভুক্তভোগীদের ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১২ জুন পটুয়াখালী পৌর এলাকার লতিব স্কুল সড়কের পান্থ লেনের কামাল ভবনের গোলাম সরোয়ারের ছোট ভাই ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকসেবী গোলাম হায়দার টিটু, পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে কর্মরত এসএএফ পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিনসহ তাদের অপর সঙ্গীরা তাদের বাসার একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আসর বসায়। এসময় গোলাম সরোয়ারের ভাগনে স্মরন আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেন ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বাধা দিলে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ৩০ জুন স্মরন আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেনের অর্থাৎ গোলাম সরোয়ারের ছোট বোন মুক্তি আরা হ্যাপি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে গোসলসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করেন ওই কক্ষে। তাই ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বিরত থাকতে বলেন বাসার সদস্যরা।

তাদের আপত্তি না শুনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মেজবাহ তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে হাতাহাতি হলে তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমান এগিয়ে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সদস্য মেজবাহের দেয়া সংবাদে ডিবি পুলিশের সদস্য ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোলাম সরোয়ার, তাদের ভাগ্নে স্মরন আহম্মেদ ও সাব্বির ও তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমানকে তুলে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এসময় মাদক আসরের অপর সঙ্গী গোলাম হায়দার টিটু, সাবেক কাউন্সিল লাবু, উজ্জ্বল শীল কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এলএ)